Life Story - Simple Life Quotes
This is very Interesting Life Story Blogging Site. I Post Regularly more types of Interesting topics. | Life Story - Simple Life Quotes
Translate
Friday, 19 June 2020
Sunday, 24 May 2020
Eid ul fitr 2020 || Eid 2020 || Eid mubarak || Eid ul fitr 2020 in India
Eid ul fitr 2020
Eid Mubarak
এক মাস সিয়াম সাধনার পর খুশির ঈদ সন্নিকটে। এইবারের ঈদটা আগের ঈদ গুলোর মতো নয়। Eid ul fitr 2020 এমন একটা সময়ে উদযাপন হতে চলেছে যে সময় গোটা দুনিয়া করোনা ভাইরাসের হুমকিতে। লকডাউন চলছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। যা ঈদের আনন্দকে শেষ করে দিয়েছে।
ঈদের কেনাকাটা কিংবা আত্মীয় স্বজনরা মিলে আনন্দ করার তেমন সুযোগ নেই এবার। সুতরাং বলা যায় এবারের ঈদ অনেকটা সাদামাটা ভাবে উদযাপন হবে। Eid 2020 কে পৃথিবীর সবাই মনে রাখবে। মুসলমানদের জন্য এটি খুব বেদনাদায়ক ঈদ।
আশা করি পৃথিবী আবারও তার আগের রূপে ফিরে আসবে। ঈদের সেই হৈচৈ আনন্দ, কেনাকাটা আবারও জমজমাট হবে।
সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। সবাই ভালো থাকবেন, সচেতন থাকবেন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। ঈদ মোবারক
STAY HOME
STAY SAFE
Eid mubarak 💖
Wednesday, 20 May 2020
পবিত্র লাইলাতুল কদর ও তার ফজিলত | কদর রাত্রি ও কুরআন নাযিল | Shob e Kodor
পবিত্র শবে কদরঃ-
কুরআন নাযিল
পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রি গুলো শবে-কদর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই রাতের তাৎপর্য বলে শেষ করা যাবে না। মুসলমানদের জন্য এটি একটি মহমান্বিত রাত। এই রাত হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রাত।
আমরা শেষ নবীর উম্মত। যারা দুনিয়াতে খুব অল্প সময় হায়াত নিয়ে এসেছি। আমাদের পূর্বে নবী-রাসুলের উম্মত লম্বা সময় হায়াত পেয়ে আল্লাহর ইবাদতের সুযোগ পেয়েছেন। আর তাই মহান আল্লাহ আমাদের এই রাতটিতে আমাদের হাজার বছরের ইবাদতের মতো সুযোগ করে দিয়েছেন।
আমরা জানি, পবিত্র কুরআন যার সংস্পর্শে গিয়েছে সে সম্মানিত হয়েছে। যেমন আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর উপরে কুরআন নাযিল হয়ে উনি হয়েছেন সুমহান সম্মানের অধিকারী। আমরা কুরআন পেয়ে অনেক ভাগ্যবান হয়েছি। আবার এই রমজান মাসও কুরআন নাযিলের মাস। আর তাই এই মাস বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। অন্যদিকে শবে কদরের রাতে কুরআন নাযিল হওয়াতে এই রাতের সম্মান ও গ্রহণযোগ্যতা আল্লাহর নিকট অনেক বেশি।
শবে কদরের রাতে আল্লাহর রহমতের ভান্ডার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, ক্ষমার অনেক বড় সুযোগ দিয়েছেন আল্লাহ তাঁর বান্দাদের এই রাতে। যেকোনো পাপি বান্দা এই রাতে মন থেকে তওবা করে ভালো পথে ফিরে আসলে মহান আল্লাহ তার পিছনের জীবনের সব গুনাহ মাফ করে দেন।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এই রাতে একটি দোয়া বার বার পড়তে বলেছেন।
দোয়াটি হলোঃ-
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওয়ুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।
অর্থঃ- হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করাকে পছন্দ করেন, আমাদের ক্ষমা করো।
এই দোয়া পড়লে আল্লাহর নিকট ক্ষমা পাওয়ার অনেক বেশি সুযোগ থাকে। তাই আমাদের উচিত কদরের রাতে এই দোয়াটি বার বার পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।
আল্লাহ সবাইকে বুঝ দান করুন। সবাইকে আমল করার তৌফিক দিন- আমিন
আমরা শেষ নবীর উম্মত। যারা দুনিয়াতে খুব অল্প সময় হায়াত নিয়ে এসেছি। আমাদের পূর্বে নবী-রাসুলের উম্মত লম্বা সময় হায়াত পেয়ে আল্লাহর ইবাদতের সুযোগ পেয়েছেন। আর তাই মহান আল্লাহ আমাদের এই রাতটিতে আমাদের হাজার বছরের ইবাদতের মতো সুযোগ করে দিয়েছেন।
আমরা জানি, পবিত্র কুরআন যার সংস্পর্শে গিয়েছে সে সম্মানিত হয়েছে। যেমন আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর উপরে কুরআন নাযিল হয়ে উনি হয়েছেন সুমহান সম্মানের অধিকারী। আমরা কুরআন পেয়ে অনেক ভাগ্যবান হয়েছি। আবার এই রমজান মাসও কুরআন নাযিলের মাস। আর তাই এই মাস বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। অন্যদিকে শবে কদরের রাতে কুরআন নাযিল হওয়াতে এই রাতের সম্মান ও গ্রহণযোগ্যতা আল্লাহর নিকট অনেক বেশি।
শবে কদরের রাতে আল্লাহর রহমতের ভান্ডার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, ক্ষমার অনেক বড় সুযোগ দিয়েছেন আল্লাহ তাঁর বান্দাদের এই রাতে। যেকোনো পাপি বান্দা এই রাতে মন থেকে তওবা করে ভালো পথে ফিরে আসলে মহান আল্লাহ তার পিছনের জীবনের সব গুনাহ মাফ করে দেন।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এই রাতে একটি দোয়া বার বার পড়তে বলেছেন।
দোয়াটি হলোঃ-
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওয়ুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।
অর্থঃ- হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করাকে পছন্দ করেন, আমাদের ক্ষমা করো।
এই দোয়া পড়লে আল্লাহর নিকট ক্ষমা পাওয়ার অনেক বেশি সুযোগ থাকে। তাই আমাদের উচিত কদরের রাতে এই দোয়াটি বার বার পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।
আল্লাহ সবাইকে বুঝ দান করুন। সবাইকে আমল করার তৌফিক দিন- আমিন
Friday, 8 May 2020
What is Period? | Period Problems | ঋতুস্রাব | Teen age Problems
Teen Age Problems
Period Time - ঋতুস্রাব
পিরিয়ড এর সময় একটা মেয়ে কতটা কষ্ট সহ্য করতে হয় তার সিকি ভাগ হয়তো আপনি চিন্তাও করতে পারছেন না। 🙂
পিরিয়ড শুরু হওয়ার সাথে সাথে হয়তো তার দাড়িয়ে থাকার শক্তিও হারিয়ে ফেলে । 💔
২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৭/১৮ ঘন্টা ব্লিডিং হয়( সবার ক্ষেএে এক নয়) । 😔
প্যাড বা কাপড় ব্যবহার করার ফলে নারীর প্রাইভেট পার্ট ফুলে যায়, শুরু হয় জ্বালা পোড়া। 🙂💔
৩/৬ দিন টানা এই কষ্ট একজন নারীকে সহ্য করতে হয়। 😇
বর্তমানের টেলিভিশনে যখন সেনোরা, freedom, Whisper, স্যানিটারি ন্যাপকিন এড গুলো তে সারা দিন নিশ্চিত থাকুন। leakage এর কোন ভয় নেই। সারাদিন dryness আর সৌরভ । হাসি মুখে ৩২ দাঁত বের করে বলে তখন হয় আপনার পাশে বসে থাকা মেয়েটি দাঁত কামড়ে পেটের ব্যাথা সহ্য করছে। লোক লজ্জা বলতে বা চিৎকার করে কান্নাও করতে পারছে না 😔💔
এড গুলো তে সাদাই প্যাডে নীল রং এর পানি তে একটা মেয়ের কষ্ট বলতে পারছে। পিরিয়ডের ২৪ ঘন্টা আগের থেকে একজন নারীর শরীরে ৫ ধরনের পরিবর্তন শুরু হয়। পরিবর্তন বলবনা বলব অত্যাচার ।
১) প্রচন্ড মাথা ব্যাথা,
২) বমি / খাবার হজম না হওয়া।
৩) তল পেটের ব্যাথা শুরু হয়।
৪) মেরুদন্ডের হাড় ব্যাথা বা কামড়ানো।
৫) মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
যারা শরীরে এত গুলো সমস্যা একসাথে শুরু হয় তার কি কোন কাজ করা সম্ভব?
শান্তিতে হয়তো বসতে পারছে না?
আপনি হয়তো তার উপর ঘরের বা অফিসের সব কাজ চাপিয়ে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
আপনার শরীরে এই হাল হলে আপনি টিকতে পারবেন তো?
নারীর পিরিয়ড নিয়ে হাসিতামাশা নয়।
নারীর পাশে দাড়াঁন এক গ্লাস পানি দিয়ে না হয় বলুন একটু বসো।
না হয় বলুন আজ না হয় কাজ একটু কম করুন।
অনেক সময় হঠাৎ করে ছুটি চেয়ে থাকে আপনার সহকর্মী, তার দিকে ভুতে দেখার মত তাকিয়ে না থেকে সহায়তা হাত বাড়িয়ে দিন।
Sunday, 26 April 2020
Ramadan Kareem | Sacrifice With Female in Ramadan time | Ramadan mubarak
Sacrifice with Female in Ramadan Time
Ramadan Kareem | Ramadan Mubarak
ইফতারের সময় টেবিলের দিকে তাকিয়ে দেখি কোথাও বেলের শরবত নেই। আমি আমার স্ত্রী শ্রাবণীকে ডেকে বললাম,
-- শুধু লেবুর শরবত আছে। বেলের শরবত কোথায়?
শ্রাবণী মাথা নিচু করে বললো,
- বেলের শরবতটা বানানোর সময় পাই নি
কথাটা শুনার পর মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো। শ্রাবণীকে ধমক দিয়ে বললাম,
-- তুমি কি রাষ্ট্র পরিচালনা করো; যে শরবত বানানোর সময় পাও নি? সারাদিন রোজা রাখার পর একটু যে বেলের শরবত খাবো সেটাও আমার কপালে নেই
শ্রাবণী আর কিছু না বলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। এই মেয়েকে নিয়েই এক সমস্যা। ও কোন কাজ পরিপূর্ণ ভাবে করতে পারে না
দুপুরের দিকে শ্রাবণীকে বললাম,
-- ফ্রিজে কি মুরগির গোশত আছে?
শ্রাবনী বললো,
-হ্যাঁ আছে
আমি বললাম,
-- এক কাজ করো তো; আজ ইফতারিতে মুরগির গোশত দিয়ে চপ বানিও
আমার কথা শুনে শ্রাবণী হা করে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। আমি কিছুটা ধমকের স্বরে বললাম,
--এইভাবে বোকার মত হা করে তাকিয়ে আছো কেন?
শ্রাবণী আমতা আমতা করে বললো,
- মুরগির গোশত দিয়ে কিভাবে চপ বানায়?
এমনিতেই রোজা রেখেছি আর এখন মধ্য দুপুর। গরমে মেজাজ এমনিতেই খারাপ তার উপর শ্রাবণীর এই কথা শুনে মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে গেলো। শ্রাবণীর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বললাম,
-- তোমার মা কি তোমায় রান্না বান্না কিছু শিখিয়ে বড় করে নি? যেটা বানাতে বলি সেটাই দেখি পারো না। আমি জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল করেছি তোমাকে বিয়ে করে
শ্রাবণী কিছু না বলে চুপচাপ আমার সামনে দাঁড়িয়ে রইলো। আমি অন্য রুমে চলে গেলাম। এইমেয়েটাকে দেখলেই আমার আজকাল রাগ লাগে। দিন দিন আমার ওকে অসহ্য মনে হচ্ছে...
সেহরির সময় ভাতে হাত রাখতেই বুঝালাম ভাতগুলো ঠান্ডা। আমি কিছু না বলে শুধু শ্রাবণীর দিকে তাকালাম। আমার রাগী চেহারা দেখে শ্রাবণী ভয়ে মাথা নিচু করে বললো,
- আজ ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে। এখন গরম ভাত রান্না করলে আযান দিয়ে দিবে। আজ একটু কষ্ট করে ঠান্ডা ভাত খেয়ে নাও। কাল থেকে আর এমন হবে না
শ্রাবণীর কথা শুনে আমি আর ওকে কিছু বললাম না। চুপচাপ ভাতের প্লেটটা ফেলে দিয়ে টেবিল থেকে উঠে পড়লাম...
|
|
আমার বন্ধু খালিদের বাসায় আজ ইফতারের দাওয়াত আছে। আমাদের বাসা কাছাকাছি হওয়ার কারণে আমি ওর বাসায় একটু তাড়াতাড়িই চলে গেলাম। কলিংবেল বাজাতেই খালিদ দরজা খুললো। খালিতে অবস্থা দেখে খুব অবাক হলাম। ওর সারা মুখে সাদা পাউডানের মত কি যেন লেগে আছে। আমি খালিদকে বললাম,
-- তোর এই অবস্থা কেন?
খালিদ মুচকি হেসে বললো,
-অর্পিতাকে(খালিদের স্ত্রী) একটু ইফতারি বানানোর কাছে হেল্প করছিলাম।
আমি তখন বললাম,
-- তুই রোজা রেখে রান্না বান্না করছিস?
খালিদ আবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- তুই গাধা না কি? আমি তো শুধু একা রোজা রাখি নি; অর্পিতাও তো রেখেছে। অফিস যেহেতু ছুটি সেহেতু আমি রোজা রেখে সারাক্ষণ বাসায় শুয়ে বসে দিন পার করি কিন্তু অর্পিতার কোন ছুটি নেই। ও রোজা রেখে ঘর পরিষ্কার করছে, কাপড় ধুঁয়ে দিচ্ছে, রান্না বান্না করছে আবার ইফতারিও বানাচ্ছে। বেগুনী, আলুর চপ, বুট-ভরা খেতে যতটা মজা এইসব বানানো ঠিক ততটাই কঠিন। ও একা হাতে সব কিছুই সামলায় আমি মাঝে মধ্যে একটু হেল্প করি এই যা।
ইফতারের সময় আমি আড়চোখে খালিদ আর অর্পিতাকে দেখছিলাম। অর্পিতার প্রতি খালিদের ভালোবাসা দেখে নিজেকে তখন অমানুষ মনে হচ্ছিলো। হঠাৎ অর্পিতা খালিদকে বললো,
~ তোমার শরবতে তো ইসুপগুলের ভুসি দিতে ভুলে গেছি
খালিদ তখন মুচকি হেসে বললো
- আরে দূর একদিন ইসুপগুলের ভুসি না খেলে কিছু হবে না
নিজেকে খালিদের জায়গায় দাঁড় করালাম। আজ যদি শ্রাবণী এমন ভুলটা করতো আমি হয়তো ওকে প্রচন্ড রকম গালি গালাজ করতাম। অথচ একদিন বেলের শরবত না খেলে কিছুই হতো না। আমি শুধু আমার দিকটাই ভেবে দেখেছি অথচ আমার পাশে একজন রোজাদার মানুষ কত কাজ করছে সেটা আমার কখনো চোখেই পরে নি
|
|
সেহরির সময় শ্রাবণীর কপালে হাত রেখে ওকে ডাক দিতেই ও তাড়াহুড়ো করে ঘুম থেকে উঠলো। আমাকে দেখে কিছুটা ভয়ে ভয়ে বললো,
- আমি আজকেও দেরি করে ফেললাম তাই না? কিছু মনে করো না প্লিজ। আমি এখনি রান্না করছি
আমি মুচকি হেসে বললাম,
-- আমি রান্না করে ফেলেছি। তবে মাছের তরকারীটা মনে হয় খুব বেশি ভালো হয় নি। আজ একটু কষ্ট করে খেয়ে নাও। আর হে ; কাল আমায় মাছের তরকারী রান্না করা শিখাবে বিনিময়ে মুরগীর গোশত দিয়ে কিভাবে চপ বানাতে হয় সেটা তোমায় শিখাবো
আমার কথা শুনে শ্রাবণী আমায় কিছু বলতে চেয়েছিলো কিন্তু আমি ওকে থামিয়ে দিয়ে ওর হাতটা ধরে বললাম,
-- আমার এতদিনের ব্যবহারের জন্য আমায় প্লিজ মাফ করে দিও। কথা দিচ্ছি পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো স্বামী হয়ে তোমাকে দেখাবো। তখন তোমার চোখে আমার প্রতি ভয় না; শুধু ভালোবাসা দেখা যাবে
#রোজাদার_স্ত্রীর_প্রতি_দায়িত্ব
#আবুল_বাশার_পিয়াস
বিঃদ্রঃ- সকল মুসলমান ভাইদের প্রতি আমার একটা অনুরোধ রইলো, আপনি যেমন রোজা রাখেন তেমনি আপনার মা বোন স্ত্রী ওরাও রোজা রাখে। তাই ইফতারে দুই একটা আইটেম কম হলে রাগারাগি না করে বরং ইফতার বানানোর কাজে উনাদের যতটা সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করেন। বেশি কিছু না পারলেও অন্তত শরবত বানানোর দায়িত্বটা নিজে নেন।সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা
Thursday, 23 April 2020
Love Story | Back to Ex Lover | বাংলা ভালোবাসার গল্প | School life Relationship
Back to Ex Lover
ভালোবাসার গল্পঃ-
মেয়েটার নাম ছিল টুম্পা...আমি তখন দশম শ্রেনীতে পড়ি ...
ওর সাথে আমার নবম শ্রেনি থেকেই কথা হতো..
আর দশম শ্রেনিতে উঠে আমাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়...
কোন কারনে আমার মন খারাপ হলে বা বাড়ি থেকে বকা ঝকা করলে একমাত্র ওই ছিলো যাকে আমি সবার আগে আমার পাশে পেতাম..
সুখে দুঃখে ও আমার পাশে থাকত...
স্কুলে সব সময় ও আমাকে আর আমি ওকে সময় দিতাম...
ট্রিফিন পিরিয়ডে আমরা আরো কাছাকাছি বসে হাতে ধরা ধরি করে কথা বলতাম গল্প করতাম...
এক সময় আমি ওকে প্রপোজ করলাম...
প্রপোজ কারার পর অবশ্য আমি একটু ভয়ে ছিলাম..
তার পর ও সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল..
তখন আমরা দুই জনই খুব Excited ছিলাম...
আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা আরও অনেক গভীর হয়ে যায়...
বাড়িতে যতক্ষন পর্যন্ত থাকতাম বেশিরভাগ সময়ই এস এম এস করতাম আর স্কুল বন্ধ থাকলে বিকাল বেলায় টুম্পাদের বাড়ির দিকে ঘুরতে যেতাম...
আর দেখা করতাম..
একবার টুম্টা আমার এক বন্ধু তন্ময়ের সাথে কথা বলতে না করে আর বলে তোমার ওই বন্ধুর সাথে কোন যোগাযোগ রাখবা না...আর ওর সাথে মিশবানা...
আমি বললাম কেন কি হইছে,ওকি খারাপ কিছু বলছে তুমাকে,বল আমাকে...
টুম্পা বললো না ও আমাকে কিছুই বলে নাই...
ওকে আমার ভালো লাগেনা...
শুধু টুম্পার কথায় আমি আমার বন্ধু তন্ময়ের সাথে কথা বলা ও সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেই...
এই ভাবে কেটে যায় এস এস সি পরিক্ষা পর্যন্ত.........
পরে আমি বোঝতে পারি তনময় সিগারেট খাইতো তাই টুম্পা তন্ময়ের সাথে আমাকে মিশতে না করেছিলো...
এস এস সি পরিক্ষার পর কিছু দিন সব কিছু স্বাভাবিকই থাকে.. কিছুদিন পর থেকে আর আগের মতো এস এম এস দিতনা আমি এস এম এস দিলেও ঠিক মতো উত্তর দিতনা...
টুম্পা বলতো বাড়ি থেকে মোবাইল ব্যবহার করতে দিবেনা..
আর ওর জন্য ছেলে দেখতেছে...
একদিন এস এম এস এ বলতেছে বাড়ি থেকে ওর বিয়ে ঠিক করেছে...
আর ১ সপ্তাহ পরে বিয়ে...
আমার করার কিছুই ছিলনা...
আমি কোনো কিছু না ভেবেই পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই...
আমি ওকে বলি চলো টুম্পা আমরা পালিয়ে যাই...
আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারব না...
টুম্পা বলল আমি আমার পরিবার কে কষ্ট দিয়ে তোমার সাথে পালিয়ে যেতে পারবোনা...
আমাকে মাফ করে দাও...
আমি দিশেহারা হয়ে যাই...
শুধু কান্না করা ছাড়া আমার আর কিছু করার ছিলোনা...
টুম্পার বিয়ের আর দুইদিন বাকি মনে হচ্ছে টুম্পার বিয়ের দিনের সাথে সাথে আমার মৃত্যুর দিনও ঘনিয়ে আসছে...
বিয়ের দিন বিকাল বেলা অচেনা একটা নম্বর থেকে ফোন আসে আমার ফোনে...
ফোনটা রিসিভ করে হ্যালো বলতেই ফোনের ওপাশ থেকে টুম্পা কান্না যুক্ত কন্ঠে বলতেছে...বাবু খাইছ..
আমি উত্তরে বলি না খাইনাই...
টুম্পা বলে বাবু খেয়ে নাও...
এতো ভেঙ্গেপরোনা প্লিজ...
আমার কিছু করার নাই,আমি পরিস্থিতির স্বীকার...
পারলে আমাকে মাফ করে দিও..
তোমার জন্য দোআ করি...
আমার চাইতে অনেক সুন্দর আর লক্ষী একটা বউ পাবা তুমি..
ভালো থাকো.......
এই গল্পটা আমার খুব কাছের একজন বন্ধুর জীবনে ঘটে গেছে..
Wednesday, 22 April 2020
Ramadan Mubarak | রমজানুল মোবারক | Ramadan 2020 | Romadan Kareem
Romadan Mubarak - রমজানুল মোবারক
Romadan Kareem : (পবিত্র রমজান মাস)
The best month out of the 12 months of the year is Ramadan. It is a very blessed and blessed month! Achieving taqwa is very important for a Muslim. The month of Ramadan is the best time to achieve taqwa. Fasting for a month gives all the sins of our life a chance to be forgiven. So we should spend this month of Ramadan through worship.
বছরের ১২ টি মাসের মধ্যে সর্ব উত্তম মাস হলো রমজান মাস। এটি খুব ফজিলত পূর্ণ ও বরকতময় মাস! একজন মুসলমানের জন্য তাকওয়া অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রমজান মাস তাকওয়া অর্জনের জন্য সর্ব উৎকৃষ্ট সময়। এক মাস রোজা রাখলে আমাদের জীবনের সবটুকু গুনাহ ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ হয়। তাই আমাদের এই রমজান মাসকে ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করা উচিত।
Tuesday, 14 April 2020
Suicide extension || Suicide Bangladeshi Boy || Before Suicide Notes
Suicide Bangladeshi Boy
(আত্মহত্যা )
❤ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা ❤
টাকা-পয়সা না থাকলে এই দুনিয়া কত নিষ্ঠুর হয় তার উদাহরণ রেখে গেলেন,বাইকার ফ্রিল্যান্সার শামীম ভাই। আত্মহত্যা করলেনএমন হাসোজ্জল মানুষটা বুকের ভেতর এতো কষ্ট বেদনা নিয়েও নিজেকে মানিয়ে চলেছেন। অবশেষে এভাবে প্রস্থান। এভাবে চলে যেতে হয় না। মিউচুয়াল ফ্রেন্ড দেখলাম অনেকেই। তার স্ট্যাটাস পড়ে চোখে জল পড়ছে অনবরত। আপনার পাশেরজনকে বুঝুন। শুধু সুখে নয়, দুখেও থাকুন তার পাশে। এভাবে কেউ যেনো কখনো না চলে যায়।
তার ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়াঃ-
বাবা-মা, বোন-দুলাভাই, চাচা-চাচি, ফুফু-ফুপ্পা, মামা-মামি, খালা-খালু এই সব আত্মীয় স্বজন যদি কাজেই না আসে তাহলে ওদের সাথে থেকে কি লাভ। জীবনের কঠিন সময় গুলোতে কাউকে পাশে পাইনি। কেউ এসে বলেনি কেমন আছি বা সমস্যা গুলোর সমাধানের বৃন্দ মাত্র চেষ্টা করে নি। কাউকে বোঝাতে পারি নাই আমার সমস্যা। বাবা-মায়ের অহংকার, রাগ, জেদের কাছে আমার ভালোবাসা মূল্যহীন।
হালসার মানুষ গুলোকে বলতে চাই। ছেলের সুখের কাছে কি রাগ, জেদ বড় হয়ে গেলো। আপনাদের পছন্দেই তো বিয়ে করলাম। তাহলে বিয়ের পরে কেন এত ঝামেলা। বিয়ের ১৭ দিনের দিন কেনই বা ধর্মদহতে কল দিয়ে বললেন এই ছেলে আমার না পালিত ছেলে। মানলাম হয়ত মজা করে বলেছেন কই তার পরে কখনও তো এই বিষয়টা সমাধান করলেন না। বিয়ের পর থেকেই এরকম ছোট বড় সমস্যা করেছেন যেটার কোন সমাধান করার চেষ্টা করেন নাই। ছোট হয়ে যাবেন বলেই তো সমাধান করেন নাই। ছেলের বাবা হয়ে যে অহংকার দেখান বর্তমান সময়ে এই অহংকার চলে না। এখন একটাই প্রশ্ন সত্যিই কি আমি আপনাদের সন্তান?
ধর্মদহ এর মানুষ গুলোকে বলতে চাই। মানুষের অবস্থান সব সময় এক রকম থাকে না। একটা সময় আমার ব্যাগ প্যাক এ ৩,৭০,৫০০ টাকা সমমূল্য পরিমানের গ্যাজেট (ম্যাক, ডিএসএলআর, আইফোন, আইওয়াচ) থাকত। আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার। আপনাদের ঘরেও তো একটা ছেলে বসে আছে চাকুরীর জন্য চেষ্টা করছে কিন্তু চাকুরী কি পেয়েছে পাই নাই কারণ চাকুরী এত সহজ না। বিয়ের পর থেকে কি শুধু আমার ভুল বা দোষ, আপনাদের কোন ভুল নাই? দুই পরিবারের ছোট ছোট ভুল গুলোই বড় হয়েছে। এই ভুল গুলো কেও সমাধান করে নাই। আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি দুই পরিবারকে বোঝাতে পারি নাই।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ এ বিয়ের কথা বার্তা হওয়া। ২ অক্টোবর, ২০১৭ রিং পরানো আর ২২ অক্টোবর, ২০১৭ বিয়ে। আমি ভালো ইনকাম ও ভালো পজিশন ছিল বলেই এরকম ছেলে দেখে বিয়ে দিতে এক মূহুর্ত দেরি করেন নি। কিন্তু যখনই আমার অবস্থান খারাপ হলো তখন থেকেই আমি খারাপ হয়ে গেলাম। আসলে আপনারা জামাই চান না টাকা চান।
ঈশিতার চাকুরীর জন্য এপ্রিল, ২০১৯ এ মাওনাতে বাসা নেওয়া এবং আমার যাওয়া আসা। আপনারা হয়ত ভাবেন মেয়ের ইনকাম জামাই এসে খাই আর চলে যায়। এটা ভাবা স্বাভাবিক কারণ ঈশিতা মনে হয় বলতো না আমিও সংসার এ খরচ করি। খরচ এর বিষয় গুলো না বলে ঈশিতা নিজেকে বড় করেছে। কিন্তু মাসে আমার চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হতো সংসারে। যেটা আপনারা জানেন না। ওই সময় এর বেশি সংসারে খরচ করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না কারণ আমার ঢাকাতেও থাকা খাওয়ার খরচ ছিল। যেভাবেই হোক দু'জনের ইনকাম এ আমাদের সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু শাশুড়ি আম্মা আমাদের সংসারে একটু বেশিই নাক গুলিয়েছেন। সংসারে তোমাকে কখনও একা কষ্ট করতে দেইনি। তুমি যখন রান্না করেছো তোমাকে সহযোগিতা করেছি। খাওয়া শেষে পাতিল গুলোও সকালে আমি পরিষ্কার করেছি যাতে তোমার অফিস থেকে এসে না করতে হয়। তোমার কাপড় পর্যন্ত ওয়াশ করে দিয়েছি। কখনও ভাবি নি সংসার তোমার সব সময় চিন্তা করেছি সংসার দু'জনেরই। এরপরও আমাকে ছেড়ে চলে গেলে।
বিয়ের সময় আপনাদের এলাকার মানুষ গুলো বলেছে এরকম ছেলে পাওয়া যান না। কিন্তু যখনই ডিভোর্জ হয়ে গেলো সেই মানুষ গুলোই আমার বদনাম ও খারাপ ছেলে বলা শুরু করলো। তখন থেকেই ঈশিতাকে বলতেন এই ছেলেকে ডিভোর্জ দিয়ে দিতে। বিয়ে কি পুতুল খেলা মন চাইলো না ডিভোর্জ দিয়ে দিলাম। দুই পরিবার এক সাথে বসে কি একটা সমাধান করা যেতো না?
ঈশিতা তোমাকে বলতে চাই। স্বামী হিসেবে তুমি আমাকে কখনই আপন করে নিতে পারো নাই, সব সময়ই দুরুত্ব রেখেছো। অনেক কথাই আমাকে বলো নাই যেটা বলা প্রয়োজন ছিল। অনেক কথায় আমি অনেক পরে শুনেছি। আমাদের মাঝে যা হয় তুমি তোমার আম্মুর সাথে শেয়ার করো যেটা একদম ঠিক না। তুমি বলতে মিথ্যা কথা বলতে পারো না কিন্তু সময় মতো ঠিকই আমাকে মিথ্যা বলেছো। বিয়ের পর থেকেই আমার প্রতি তোমার উদাসীন। তুমি ঢাকা থেকে বাড়িতে যাও বাড়িতে যাওয়ার পরে কল দিয়ে কখনই বলো না আমি ভালো ভাবে বাড়িতে চলে এসেছি। যেটা আমি বিয়ের দুই বছরেও পাই নি তোমার থেকে। আমার প্রতি তোমার কোন ভালোবাসায় ছিল না। তারপরও আমি ম্যানেজ করে নিয়ে সংসার করতে চেয়েছিলাম হয়ত একদিন তুমি বুঝতে পারবে।
ঈশিতা ডিভোর্জ দেওয়ার জন্য তোমার আত্মীয়-স্বজনরা সব সময়ই তোমাকে সাপোর্ট দিয়েছে কিন্তু ডিভোর্জ দেওয়ার পরে কিন্তু সেই আত্মীয়-স্বজনরা এক দিনও খোঁজ নেয়নি তোমার। চাকুরী নাই চলছো কিভাবে, খাচ্ছো কি কেউ জানতে চাইনি।
টাকা-পয়সা না থাকলে এই দুনিয়া কত নিষ্ঠুর হয় তার উদাহরণ রেখে গেলেন,বাইকার ফ্রিল্যান্সার শামীম ভাই। আত্মহত্যা করলেনএমন হাসোজ্জল মানুষটা বুকের ভেতর এতো কষ্ট বেদনা নিয়েও নিজেকে মানিয়ে চলেছেন। অবশেষে এভাবে প্রস্থান। এভাবে চলে যেতে হয় না। মিউচুয়াল ফ্রেন্ড দেখলাম অনেকেই। তার স্ট্যাটাস পড়ে চোখে জল পড়ছে অনবরত। আপনার পাশেরজনকে বুঝুন। শুধু সুখে নয়, দুখেও থাকুন তার পাশে। এভাবে কেউ যেনো কখনো না চলে যায়।
তার ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়াঃ-
বাবা-মা, বোন-দুলাভাই, চাচা-চাচি, ফুফু-ফুপ্পা, মামা-মামি, খালা-খালু এই সব আত্মীয় স্বজন যদি কাজেই না আসে তাহলে ওদের সাথে থেকে কি লাভ। জীবনের কঠিন সময় গুলোতে কাউকে পাশে পাইনি। কেউ এসে বলেনি কেমন আছি বা সমস্যা গুলোর সমাধানের বৃন্দ মাত্র চেষ্টা করে নি। কাউকে বোঝাতে পারি নাই আমার সমস্যা। বাবা-মায়ের অহংকার, রাগ, জেদের কাছে আমার ভালোবাসা মূল্যহীন।
হালসার মানুষ গুলোকে বলতে চাই। ছেলের সুখের কাছে কি রাগ, জেদ বড় হয়ে গেলো। আপনাদের পছন্দেই তো বিয়ে করলাম। তাহলে বিয়ের পরে কেন এত ঝামেলা। বিয়ের ১৭ দিনের দিন কেনই বা ধর্মদহতে কল দিয়ে বললেন এই ছেলে আমার না পালিত ছেলে। মানলাম হয়ত মজা করে বলেছেন কই তার পরে কখনও তো এই বিষয়টা সমাধান করলেন না। বিয়ের পর থেকেই এরকম ছোট বড় সমস্যা করেছেন যেটার কোন সমাধান করার চেষ্টা করেন নাই। ছোট হয়ে যাবেন বলেই তো সমাধান করেন নাই। ছেলের বাবা হয়ে যে অহংকার দেখান বর্তমান সময়ে এই অহংকার চলে না। এখন একটাই প্রশ্ন সত্যিই কি আমি আপনাদের সন্তান?
ধর্মদহ এর মানুষ গুলোকে বলতে চাই। মানুষের অবস্থান সব সময় এক রকম থাকে না। একটা সময় আমার ব্যাগ প্যাক এ ৩,৭০,৫০০ টাকা সমমূল্য পরিমানের গ্যাজেট (ম্যাক, ডিএসএলআর, আইফোন, আইওয়াচ) থাকত। আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার। আপনাদের ঘরেও তো একটা ছেলে বসে আছে চাকুরীর জন্য চেষ্টা করছে কিন্তু চাকুরী কি পেয়েছে পাই নাই কারণ চাকুরী এত সহজ না। বিয়ের পর থেকে কি শুধু আমার ভুল বা দোষ, আপনাদের কোন ভুল নাই? দুই পরিবারের ছোট ছোট ভুল গুলোই বড় হয়েছে। এই ভুল গুলো কেও সমাধান করে নাই। আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি দুই পরিবারকে বোঝাতে পারি নাই।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ এ বিয়ের কথা বার্তা হওয়া। ২ অক্টোবর, ২০১৭ রিং পরানো আর ২২ অক্টোবর, ২০১৭ বিয়ে। আমি ভালো ইনকাম ও ভালো পজিশন ছিল বলেই এরকম ছেলে দেখে বিয়ে দিতে এক মূহুর্ত দেরি করেন নি। কিন্তু যখনই আমার অবস্থান খারাপ হলো তখন থেকেই আমি খারাপ হয়ে গেলাম। আসলে আপনারা জামাই চান না টাকা চান।
ঈশিতার চাকুরীর জন্য এপ্রিল, ২০১৯ এ মাওনাতে বাসা নেওয়া এবং আমার যাওয়া আসা। আপনারা হয়ত ভাবেন মেয়ের ইনকাম জামাই এসে খাই আর চলে যায়। এটা ভাবা স্বাভাবিক কারণ ঈশিতা মনে হয় বলতো না আমিও সংসার এ খরচ করি। খরচ এর বিষয় গুলো না বলে ঈশিতা নিজেকে বড় করেছে। কিন্তু মাসে আমার চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হতো সংসারে। যেটা আপনারা জানেন না। ওই সময় এর বেশি সংসারে খরচ করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না কারণ আমার ঢাকাতেও থাকা খাওয়ার খরচ ছিল। যেভাবেই হোক দু'জনের ইনকাম এ আমাদের সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু শাশুড়ি আম্মা আমাদের সংসারে একটু বেশিই নাক গুলিয়েছেন। সংসারে তোমাকে কখনও একা কষ্ট করতে দেইনি। তুমি যখন রান্না করেছো তোমাকে সহযোগিতা করেছি। খাওয়া শেষে পাতিল গুলোও সকালে আমি পরিষ্কার করেছি যাতে তোমার অফিস থেকে এসে না করতে হয়। তোমার কাপড় পর্যন্ত ওয়াশ করে দিয়েছি। কখনও ভাবি নি সংসার তোমার সব সময় চিন্তা করেছি সংসার দু'জনেরই। এরপরও আমাকে ছেড়ে চলে গেলে।
বিয়ের সময় আপনাদের এলাকার মানুষ গুলো বলেছে এরকম ছেলে পাওয়া যান না। কিন্তু যখনই ডিভোর্জ হয়ে গেলো সেই মানুষ গুলোই আমার বদনাম ও খারাপ ছেলে বলা শুরু করলো। তখন থেকেই ঈশিতাকে বলতেন এই ছেলেকে ডিভোর্জ দিয়ে দিতে। বিয়ে কি পুতুল খেলা মন চাইলো না ডিভোর্জ দিয়ে দিলাম। দুই পরিবার এক সাথে বসে কি একটা সমাধান করা যেতো না?
ঈশিতা তোমাকে বলতে চাই। স্বামী হিসেবে তুমি আমাকে কখনই আপন করে নিতে পারো নাই, সব সময়ই দুরুত্ব রেখেছো। অনেক কথাই আমাকে বলো নাই যেটা বলা প্রয়োজন ছিল। অনেক কথায় আমি অনেক পরে শুনেছি। আমাদের মাঝে যা হয় তুমি তোমার আম্মুর সাথে শেয়ার করো যেটা একদম ঠিক না। তুমি বলতে মিথ্যা কথা বলতে পারো না কিন্তু সময় মতো ঠিকই আমাকে মিথ্যা বলেছো। বিয়ের পর থেকেই আমার প্রতি তোমার উদাসীন। তুমি ঢাকা থেকে বাড়িতে যাও বাড়িতে যাওয়ার পরে কল দিয়ে কখনই বলো না আমি ভালো ভাবে বাড়িতে চলে এসেছি। যেটা আমি বিয়ের দুই বছরেও পাই নি তোমার থেকে। আমার প্রতি তোমার কোন ভালোবাসায় ছিল না। তারপরও আমি ম্যানেজ করে নিয়ে সংসার করতে চেয়েছিলাম হয়ত একদিন তুমি বুঝতে পারবে।
ঈশিতা ডিভোর্জ দেওয়ার জন্য তোমার আত্মীয়-স্বজনরা সব সময়ই তোমাকে সাপোর্ট দিয়েছে কিন্তু ডিভোর্জ দেওয়ার পরে কিন্তু সেই আত্মীয়-স্বজনরা এক দিনও খোঁজ নেয়নি তোমার। চাকুরী নাই চলছো কিভাবে, খাচ্ছো কি কেউ জানতে চাইনি।
কারণ আমরা মানুষরাই এরকম স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে কথা বলি।
ডিভোর্জ এর পরেও তোমাকে যেভাবে পেরেছি সহযোগিতা করেছি। কিন্তু তুমি তোমার মায়ের কথাতে আমাকে ডিভোর্জ দিয়ে দিলে। সত্যিই কি আমাকে ভালোবাসতে?
তোমার অভিযোগ ছিল আমি কেয়ারলেস। আমি কেয়ারলেস বলেই ঘরে বাজার আছে কি না সব সময়ই খোজ নিয়েছি। না বলতেই ফোনে রিচার্জ ও ইন্টারনেট দিয়েছি। তোমার বাড়ির মানুষ গুলোর খবর নিয়েছি। তুমি সারা দিন অফিস করে বাসায় গিয়ে রেষ্ট করেছো কখন বলি নাই আজকে সারা রাত গল্প করব। কেয়ারলেস ছিলাম বলেই তুমি অফিসে থাকলেও নিজে রান্না করে খেয়েছি। চুল ভেজা নিয়ে সকালে অফিসে যেতে হবে বলে তোমাকে কখনও সেক্স এর জন্য পেশার দিইনি। কেয়ারলেস ছিলাম বলেই কুমিল্লা থেকে এনে রসমালাই খাওয়াইছি। কেয়ারলেস ছিলাম বলেই ডিভোর্জ এর পরেও থ্রি-পিচ, বাজার, ফোনে রিচার্জ ও ইন্টারনেট দিয়েছি। কেয়ারলেস ছিলাম বলেই ঢাকা থেকে ভোর ৫ টায় বের হয়ে মাওনাতে গিয়ে তোমাকে নিয়ে চন্দ্রাতে বাসে তুলে দিয়ে এসেছি। কেয়ারলেস ছিলাম বলেই ডিভোর্জ এর পরেও বাইক এক্সিডেন্ট করার পরেও বাইক চালাতে কষ্ট হয়েছে
ডিভোর্জ এর পরেও তোমাকে যেভাবে পেরেছি সহযোগিতা করেছি। কিন্তু তুমি তোমার মায়ের কথাতে আমাকে ডিভোর্জ দিয়ে দিলে। সত্যিই কি আমাকে ভালোবাসতে?
তোমার অভিযোগ ছিল আমি কেয়ারলেস। আমি কেয়ারলেস বলেই ঘরে বাজার আছে কি না সব সময়ই খোজ নিয়েছি। না বলতেই ফোনে রিচার্জ ও ইন্টারনেট দিয়েছি। তোমার বাড়ির মানুষ গুলোর খবর নিয়েছি। তুমি সারা দিন অফিস করে বাসায় গিয়ে রেষ্ট করেছো কখন বলি নাই আজকে সারা রাত গল্প করব। কেয়ারলেস ছিলাম বলেই তুমি অফিসে থাকলেও নিজে রান্না করে খেয়েছি। চুল ভেজা নিয়ে সকালে অফিসে যেতে হবে বলে তোমাকে কখনও সেক্স এর জন্য পেশার দিইনি। কেয়ারলেস ছিলাম বলেই কুমিল্লা থেকে এনে রসমালাই খাওয়াইছি। কেয়ারলেস ছিলাম বলেই ডিভোর্জ এর পরেও থ্রি-পিচ, বাজার, ফোনে রিচার্জ ও ইন্টারনেট দিয়েছি। কেয়ারলেস ছিলাম বলেই ঢাকা থেকে ভোর ৫ টায় বের হয়ে মাওনাতে গিয়ে তোমাকে নিয়ে চন্দ্রাতে বাসে তুলে দিয়ে এসেছি। কেয়ারলেস ছিলাম বলেই ডিভোর্জ এর পরেও বাইক এক্সিডেন্ট করার পরেও বাইক চালাতে কষ্ট হয়েছে
Sunday, 5 April 2020
Book review || How to write Book Review || Bangla New Book Review
Bangla Book review (পথের পাঁচালী)
5 April,2020 (Sunday)
Novel: Pather Pechali
Novelist: Bibhutibhushan Bandyopadhyay
Novelist: Bibhutibhushan Bandyopadhyay
![]() |
P.C: Fariha Tabassum |
★ Nishchindipur village.
Like Durga and her doll, Adu's younger brother Apu. Growing up in a world of scarcity, the awkwardness of childhood, opening the mind to the world of fantasy. Indra Thakurun's affection for the younger brother-in-law, however, left an impression on the elderly 'father' (PC), and dependent on his family. Two children grow up in the middle of a hundred or so. But brothers and sisters are each other's lives.. Durga walks through the village all day, whose tree has mango trees, which flowers at the jungle is her fingertips. He picked up an amphitheater, a suit, a closet, a booklet for his brother. When Apu is away, how can a sister feel for her sister while eating good food? Her grandmother never played with these toys as she saw good toys, She will grow up and buy good toys on her side. Again, if the fair is settled in the village, the sister will deposit the money in the brother's name. They struggle with harassment, but they hurt themselves because they hurt each other.
Brother sister's seeking is very slight. If you have a little Alta then you don't want anything else. The puppy's box was filled with his life, which he received. And Apu? Shy boy Apu, the attraction of the book is strong. It's hard to get a book on the table. But he asks her for a book. He asks for a weekly paper. He read the story and dreamed that one day, like the characters in the book, he would come out to know the unknown, in all the expeditions. The song of a lonely traveler who got away was very drawn to him. Even in the midst of hundreds of hardships, parents save money for paper. And the mother's sad son cannot feed the girls.
In the meantime, life moves forward, novels move forward. The novel brings up the nature-environment of the traditional village of Bengal, the dignity of the dignified but short lived life. Shown is the image of a life changing, life-sustaining society. But everything is printed here and there is a desire to know the unknown of a child in this world. A new-mindedness, imagination, thinking, and skill that has erupted in the novel. I have no comparison. And at the same time, it is shown that the human mind has a strong pull of love, affection and affection for its people.. At the same time, we are depicted how cruel and bitter we can actually become.
The narration may seem a bit long somewhere in the novel. And even though the emotions of each character's emotions are well-documented throughout the novel, the rhythm of emotion came from one place to another. It was as if they were a little dark. In that place, the desire for a deeper understanding remains, not satisfied.
Lastly, this novel is a novel not to read once, but repeatedly.
The narration may seem a bit long somewhere in the novel. And even though the emotions of each character's emotions are well-documented throughout the novel, the rhythm of emotion came from one place to another. It was as if they were a little dark. In that place, the desire for a deeper understanding remains, not satisfied.
Lastly, this novel is a novel not to read once, but repeatedly.
উপন্যাসঃ পথের পাঁচালী
ঔপন্যাসিকঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
★নিশ্চিন্দিপুর গ্রাম।
দুর্গা আর তার পুতুলের মত আদুরে ছোট্ট ভাই অপু। অভাবের সংসারে তাদের বেড়ে ওঠা, শৈশবের দুরন্তপনা, কল্পনার জগতে মন খুলে উড়া।
বৃদ্ধ 'পিতি'র (পিসি) প্রতি দুর্গার টান, আর অন্যের সংসারে আশ্রিত হয়েও ছোট্ট ভাইঝির প্রতি ইন্দির ঠাকুরুন এর ভালবাসা শুরুতেই মনে ছাপ ফেলে যায়। শত অযত্ন আর না পাওয়ার মাঝেই বাড়তে থাকে দুটি শিশু। কিন্তু ভাই বোন একে অপরের প্রান। দুর্গার সারাটা দিন গ্রামের মাঝে ঘুরে বেড়ায়, কার গাছে আম পেকেছে, কোন জঙ্গলে ফুল ফুটেছে তা তার নখদর্পন। সে আমটা, জামটা, কুলটা, বইচেটা কুড়িয়ে আনে ভাইয়ের জন্য। অপু দূরে বেড়াতে গিয়ে ভাল ভাল খাবার খাওয়ার সময় বোনের জন্য মন কেমন করে, ভাবে তার দিদি তো জানেও না এমন ভাল খাবার খাওয়া যায়। ভাল খেলনা দেখে ভাবে তার দিদিটা এইসব খেলনা নিয়ে কখনো খেলেনি, সে বড় হয়ে তার দিদিকে ভাল ভাল খেলনা কিনে দিবে। আবার গ্রামে মেলা বসলে বোন টাকা জমায় ভাইয়ের আব্দার পূরণ করবে বলে। তারা ঝগড়াও লাগে হরহামেশা, কিন্তু একজন আরেকজনকে কষ্ট দেয়ায় নিজেরাই কষ্ট পায়।
ভাই বোন এর চাওয়া খুব সামান্য। একটু আলতা হলে দুর্গার আর কিছু চাই না। কুড়িয়ে পাওয়া এটা সেটা দিয়ে ভর্তি তার পুতুলের বক্সটাই তার প্রাণ। আর অপু? লাজুক ছেলে অপু, বই এর প্রতি আকর্ষন প্রবল। পাড়া গায়ে বই পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু সে এর ওর কাছ থেকে বই চেয়ে নিয়ে পড়ে। সাপ্তাহিক কাগজটার জন্য সে পথ চেয়ে থাকে। সে গল্প পড়ে আর সপ্ন দেখে একদিন বইয়ের চরিত্রদের মত সেও বের হবে অজানাকে জানতে, দুরহ সব অভিযানে। দূরে মিলিয়ে যাওয়া একলা পথিকের গান খুব টানে তাকে। বাবা হরিহর শত কষ্টের মাঝেও তাই কাগজের জন্য পয়সা বাচায়। আর মা সরজার দুঃখ ছেলে মেয়েদের ভাল কিছু খেতে দিতে পারে না।
এসবের মাঝেই এগিয়ে চলে জীবন, এগিয়ে চলে উপন্যাস। উপন্যাসটিতে উঠে এসেছে চিরায়ত গ্রাম বাংলার প্রকৃতি-পরিবেশ, সম্মানিত কিন্তু সল্পবিত্তের জীবনের সংঘাত। দেখানো হয়েছে জীবনের তাগিদে জীবনের পরিবর্তনশীলতা, বয়ে চলা জীবনে স্থির সমাজের চিত্র। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে এখানে ফুটে উঠেছে অবাক এ পৃথিবীতে এক শিশুর অজানাকে জানতে চাওয়ার আকাঙ্খা । এক নবীন মনের ভাব, কল্পনা, চিন্তা-চেতনা যে দক্ষতায় উপন্যাসটিতে ফুটে উঠেছে তার কোন তুলনা আমার কাছে নেই। আর সেই সাথে দেখানো হয়েছে আপন মানুষদের জন্য মানুষের মনের প্রবল টান-ভালবাসা, স্নেহ-মমতা। আবার একই সাথে আমরা আপন ব্যাতিত অন্যকারো কথা আসলে কতটা নির্দয় আর কেঠোর হয়ে ওঠতে পারি তার চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে ।
উপন্যাসের কোথাও কোথাও বর্ননা একটু দীর্ঘ মনে হতে পারে। আর পুরো উপন্যাসে প্রতিটি চরিত্রের মনের আবেগ সুনিপুণভাবে তুলে ধরা হলেও একটি জায়গায় এসে যেন আবেগের তালটি কেটে গেছে মনে হয়েছেi, যেন একটু তারাহুরো করা হয়েছে। সেই জায়গাটিতে আরেকটু গভীর উপলব্ধির আকাঙ্খা যেন রয়ে যায়, মন পরিতৃপ্ত হয় না।
শেষ কথা, এই উপন্যাস একবার না, বার বার পড়ার মতই একটি উপন্যাস।
ঔপন্যাসিকঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
★নিশ্চিন্দিপুর গ্রাম।
দুর্গা আর তার পুতুলের মত আদুরে ছোট্ট ভাই অপু। অভাবের সংসারে তাদের বেড়ে ওঠা, শৈশবের দুরন্তপনা, কল্পনার জগতে মন খুলে উড়া।
বৃদ্ধ 'পিতি'র (পিসি) প্রতি দুর্গার টান, আর অন্যের সংসারে আশ্রিত হয়েও ছোট্ট ভাইঝির প্রতি ইন্দির ঠাকুরুন এর ভালবাসা শুরুতেই মনে ছাপ ফেলে যায়। শত অযত্ন আর না পাওয়ার মাঝেই বাড়তে থাকে দুটি শিশু। কিন্তু ভাই বোন একে অপরের প্রান। দুর্গার সারাটা দিন গ্রামের মাঝে ঘুরে বেড়ায়, কার গাছে আম পেকেছে, কোন জঙ্গলে ফুল ফুটেছে তা তার নখদর্পন। সে আমটা, জামটা, কুলটা, বইচেটা কুড়িয়ে আনে ভাইয়ের জন্য। অপু দূরে বেড়াতে গিয়ে ভাল ভাল খাবার খাওয়ার সময় বোনের জন্য মন কেমন করে, ভাবে তার দিদি তো জানেও না এমন ভাল খাবার খাওয়া যায়। ভাল খেলনা দেখে ভাবে তার দিদিটা এইসব খেলনা নিয়ে কখনো খেলেনি, সে বড় হয়ে তার দিদিকে ভাল ভাল খেলনা কিনে দিবে। আবার গ্রামে মেলা বসলে বোন টাকা জমায় ভাইয়ের আব্দার পূরণ করবে বলে। তারা ঝগড়াও লাগে হরহামেশা, কিন্তু একজন আরেকজনকে কষ্ট দেয়ায় নিজেরাই কষ্ট পায়।
ভাই বোন এর চাওয়া খুব সামান্য। একটু আলতা হলে দুর্গার আর কিছু চাই না। কুড়িয়ে পাওয়া এটা সেটা দিয়ে ভর্তি তার পুতুলের বক্সটাই তার প্রাণ। আর অপু? লাজুক ছেলে অপু, বই এর প্রতি আকর্ষন প্রবল। পাড়া গায়ে বই পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু সে এর ওর কাছ থেকে বই চেয়ে নিয়ে পড়ে। সাপ্তাহিক কাগজটার জন্য সে পথ চেয়ে থাকে। সে গল্প পড়ে আর সপ্ন দেখে একদিন বইয়ের চরিত্রদের মত সেও বের হবে অজানাকে জানতে, দুরহ সব অভিযানে। দূরে মিলিয়ে যাওয়া একলা পথিকের গান খুব টানে তাকে। বাবা হরিহর শত কষ্টের মাঝেও তাই কাগজের জন্য পয়সা বাচায়। আর মা সরজার দুঃখ ছেলে মেয়েদের ভাল কিছু খেতে দিতে পারে না।
এসবের মাঝেই এগিয়ে চলে জীবন, এগিয়ে চলে উপন্যাস। উপন্যাসটিতে উঠে এসেছে চিরায়ত গ্রাম বাংলার প্রকৃতি-পরিবেশ, সম্মানিত কিন্তু সল্পবিত্তের জীবনের সংঘাত। দেখানো হয়েছে জীবনের তাগিদে জীবনের পরিবর্তনশীলতা, বয়ে চলা জীবনে স্থির সমাজের চিত্র। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে এখানে ফুটে উঠেছে অবাক এ পৃথিবীতে এক শিশুর অজানাকে জানতে চাওয়ার আকাঙ্খা । এক নবীন মনের ভাব, কল্পনা, চিন্তা-চেতনা যে দক্ষতায় উপন্যাসটিতে ফুটে উঠেছে তার কোন তুলনা আমার কাছে নেই। আর সেই সাথে দেখানো হয়েছে আপন মানুষদের জন্য মানুষের মনের প্রবল টান-ভালবাসা, স্নেহ-মমতা। আবার একই সাথে আমরা আপন ব্যাতিত অন্যকারো কথা আসলে কতটা নির্দয় আর কেঠোর হয়ে ওঠতে পারি তার চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে ।
উপন্যাসের কোথাও কোথাও বর্ননা একটু দীর্ঘ মনে হতে পারে। আর পুরো উপন্যাসে প্রতিটি চরিত্রের মনের আবেগ সুনিপুণভাবে তুলে ধরা হলেও একটি জায়গায় এসে যেন আবেগের তালটি কেটে গেছে মনে হয়েছেi, যেন একটু তারাহুরো করা হয়েছে। সেই জায়গাটিতে আরেকটু গভীর উপলব্ধির আকাঙ্খা যেন রয়ে যায়, মন পরিতৃপ্ত হয় না।
শেষ কথা, এই উপন্যাস একবার না, বার বার পড়ার মতই একটি উপন্যাস।
Saturday, 4 April 2020
Rules of Daily life || Some Prohibited Activities || কিছু নিষিদ্ধ কাজ || The Holy Quran and Hadis
কিছু নিষিদ্ধ কাজ:- ( Some Prohibited Activities)
(১) উপুর হয়ে বুকের উপরে ভর দিয়েশোয়া নিষিদ্ধ,🙂
কারণ এইভাবে শয়তান শোয়। সহীহ
বুখারী।🙂
(২) বাম হাতে খাওয়া বা পান করা
নিষিদ্ধ,
কারণ বাঁ হাতে শয়তান খায়। রিয়াদুস
সালেহীন।🙂
(৩) পশুর হাড় দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা
নিষিদ্ধ,
কারণ আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই করা
প্রাণীর হাড়গুলো যা মানুষেরা ফেলে
দেয়, তা মুসলিম জিনদের খাবার। সহীহ বুখারী।🙂
(৪) সন্ধ্যা সময় বাচ্চাদের বাইরে বের
হতে দিতে রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন এবং ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রাখতে বলেছেন, কারণ তখন জিনেরা বাইরে বের হয়।🙂
Children are out in the evening The Prophet (sm) forbade it and asked him to close the door of the house, because then the jinn came out.
(৫) আযান দিলে শয়তান জিনেরা বায়ু
ছাড়তে ছাড়তে লোকালয় থেকে পলায়ন করে। আর কুকুর ও গাধা শয়তান জিনদেরকে দেখতে পেলে চিৎকার করে। একারণে, অনেক সময় ইশা বা ফযরের আযান দিলে কুকুরেরা চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। কারণ তখন কুকুরেরা আযান শুনে পলায়নরত শয়তান জিনদের দেখতে পায়। উল্লেখ্য, রাতের বেলা কুকুর ও গাধার ডাক শুনলে"আউযুবিল্লাহি....রাজীম"
এই দুয়া পড়ে শয়তান থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হয়।🙂
সহীহ বুখারী, হিসনুল মুসলিম।
(৬) মোরগ আল্লাহর রহমতের
ফেরেশতাদেরকে দেখতে পায়, একারণে
মোরগের ডাক শুনে "আল্লাহুম্মা ইন্নি
আস-আসুকা মিং ফাযলিকা" এই দুয়া পড়ে
আল্লাহর অনুগ্রহ চাইতে হয়। হিসনুল মুসলিম।🙂
(৭) গোসলখানায় প্রসাব করা যাবে
না।।🙂
________ আল হাদিস (ইবনে মাজাহঃ
৩০৪)
(৮) কেবলামুখি বা তার উল্টো হয়ে
প্রসাব, পায়খানা করা যাবে না।।🙂
_________ সহিহ বুখারিঃ ৩৯৫
(৯) গুলি বা তীরের নিশানা প্রশিহ্মণের
জন্য প্রাণী ব্যবহার
করা যাবে না।।🙂
_________ মুসলিমঃ ৫১৬৭
(১০) ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুশরিক
কাউকে বিয়ে করা যাবে না।।🙂
_________ আল কোরআন।
(১১) স্বামী ব্যাতিত অন্য কারোর
জন্য
সাজা হারাম।🙂
_________ আল কোরআন,
(আহজাবঃ ৩৩)
(১২) মুর্তি কেনা, বেঁচা, পাহারা দেওয়া
হারাম।।🙂
_________ আল কোরআন (মাইদাহঃ
৯০, ইবরাহীমঃ ৩৫)
(১৩) কারো মুখমণ্ডলে আঘাত
করা যাবে না।।🙂
________ মুসলিমঃ ৬৮২১
(১৪) কাপড় পরিধাণ থাকা সত্তেও
কারো গোপন অঙ্গের জায়গার
দিকে দৃষ্টিপাত করা যাবে না।।🙂
________ মুসলিম ৭৯৪
(১৫) আল্লাহ ব্যাতিত কারো নামে
কসম করা যাবে না। বাপ দাদার নাম,
কারো
হায়াত, মসজিদ বা কোরআন এর
নামে কসম করা, মাথায় নিয়ে
সত্যতা প্রকাশ করা যাবে না।।🙂
__________ আবু দাউদ৩২৫০
নাসায়ীঃ ৩৭৭৮।
(১৬) কোন প্রাণীকে আগুনে পুড়িয়ে
মারা যাবে না।।🙂
_________ আবু দাউদ ২৬৭৭
(১৭) হাশরের দিন শেষ বিচারের পরে
আল্লাহ জান্নাতীদেরকে জান্নাতে দেবেন আর, জাহান্নামীদেরকে জাহান্নামে দেবেন।
তখন আল্লাহ জান্নাতী ও জাহান্নামীদেরকে
ডাক দিয়ে বলবেন, তোমরা এই দিকে
দেখো। তখন জান্নাত ও জাহান্নামের
মাঝখানে একটা সাদা দুম্বাকে দেখিয়ে
আল্লাহ বলবেন, এই দুম্বাটা হচ্ছে
মরণ।🙂
তখন সেই দুম্বাকে জবাই করে ফেলা
হবে। এইভাবে দুম্বারূপী মরণকে জবাই করে
আল্লাহ মৃত্যুকে হত্যা করে ফেলবেন।
তখন তিনি বলবেন, আজকের পর থেকে আর কোন মরণ থাকবেনা। সুতরাং, যারা জান্নাতে যাবে তারা চিরকাল জান্নাতে আনন্দ- উল্লাসের মাঝে থাকবে। আর যারা
জাহান্নামে যাবে তারা চিরকাল আযাব-
গজব আর দুঃখ-কষ্টের মাঝে থাকবে।
দুম্বারূপী মৃত্যুকে হত্যা করে ফেলার এই ঘোষণার কারণে জান্নাতীরা আরো বেশি
আনন্দিত হবে, কারণ তাদের আনন্দের জীবন কখনো শেষ হবেনা। আর এই ঘোষণা জাহান্নামীদের জন্যে আরো বড় বিপদ ও দুঃখ নিয়ে আসবে। কারণ জাহান্নামে যতই আগুনে পুড়ুক বা যতই যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি ভোগ করুক, তার ফলে কোনদিন তারা মরবেনা। অনন্তকাল কঠিন শাস্তি ভোগ করতে থাকবে।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা করুক সবাই বলো __আমিন_🙂
In hell they will be tormented forever. There will be anger and grief. Paradise is even more so because of this declaration of double-slaying Will be glad.. Because their happy life will never end. And this declaration will bring even greater dangers and sorrows to the hell. Because in hell, as much as it is a fire or a painful punishment, As a result, they will never die. The eternal punishment will continue to suffer. May God protect us from the punishment of hell.. Amin 🙄
Subscribe to:
Posts (Atom)
Lockdown time Daily Routine | Alone life | West Bengal
Daily Routine | Lockdown Time West Bengal | Alone Life #Lockdown_Time #Daily_Routine #Alone_life লকডাউনে আমার যেভাবে সারা...
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhoXUqZio95Ga6FNNdirGoWPf_4_bEyq2pREkLvF6QIFzbCYqAFODhWGWA_Lvpx3iY4heCdyGBFwHtuYtJBypQOi06iZStEWjFMfZrNR1x16ruCGgYhXoPSCF62H3nufgiNqeoqt-LKaAc/s320/Lockdown.jpg)
-
Poem about Corona :- কবিতা - করোনা বন্দনা Name of poem: Corona Bandhana ?? Don't What is your name Don't say one thing ...
-
School life (স্কুল জীবন) সদ্য পারিবারিক গন্ডি পেরিয়ে যাওয়া শিশুটির স্কুল জীবনের শুরু। যদিও ইচ্ছার বিরুদ্ধে শুরুটা হয়ে থাকে পরবর্তীতে ধ...
-
দুবাই ভ্রমণ পারিবারিক ভাবে দুবাইয়ের সাথে একটা সম্পর্ক থাকায় ছোট বেলা থেকে দুবাই যাওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। সুযোগটা ও চলে আসলো ২০১৪ সালে। ...