Translate

Monday, 16 March 2020

Autobiography || Introduced About Myself || How to Write Autobiography || Md. Piash Hasan

আত্মজীবনী (Autobiography)  

সময়টা ১৯৯৭ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর, সোমবার 
(বাংলাঃ ২৭ ভাদ্র, আরবিঃ ২৯ যিলকদ; সকাল-৮ঃ১৫ মিনিট)

মা-বাবার কোল  জুড়ে দুনিয়ায় আসলো ফুটফুটে এক শিশু। শিশুটিকে দেখে সবাই কিছুটা অবাকই হলো, কেউ কেউ কিঞ্চিৎ ভয় পেয়ে উঠলো। কারণ শিশু ছেলেটি দেখতে খুবই সুন্দর ছিল আর দুধের মতো সাদা ছিল। সত্যি কথা বলতে কি তাই সবাই ভাবলো জ্বীন নাকি ছেলেটা ।😁 আত্মীয় স্বজনরা কোলে নিতে ভয় পাচ্ছিলেন। এরপর বাবার নামের সাথে মিলিয়ে ছেলেটির নাম রাখা হলো মোঃ শহিদুল্লাহ। আর ডাক নাম রাখা হলো পিয়াস। পরবর্তী সময়ে জন্মসনদে পরিবর্তিত হয়ে নাম হলো মোঃ পিয়াস হাসান।  এখন সবাই তাকে এই নামেই চিনে। আসুন পিয়াসের সাথে পরিচিত হই;

আমি পিয়াস হাসান। আমার জন্ম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের বিখ্যাত নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ থানার অর্ন্তরগত বসুরহাট পৌরসভার এক মুসলিম সম্ভান্ত্র পরিবারে। বাবা মোঃ হারুন চৌধুরী দুবাই প্রবাসী একজন কনস্ট্রাকশন ব্যবসায়ী এবং মা জেসমিন চৌধুরী একজন গৃহিণী।
আমি মা-বাবার বড় ছেলে। আমরা দুই ভাই এক বোন।
ছোট থেকেই আমি ছিলাম খুব রাগী কিন্তু দুষ্টুমি কম করতাম। খেলাধুলার প্রতি খুব আগ্রহী ছিলাম। মা-বাবার আমাকে নিয়ে অনেক আশা, তারা চাইতো আমি যেন ডাক্তার ইন্জিনিয়ার কিছু একটা হয়ে সমাজে তাদের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।  সে লক্ষ্যেে আমাকে ছোট থেকেই পড়াশুনার প্রতি ভালো একটা গাইডলাইন দেওয়া হয়।

সে অনুযায়ী আমিও খুব ভালো একজন ছাত্রে পরিণত হই। ছোট থেকেই পরীক্ষার রেজাল্ট গুলো ভালো ছিল। তাই মা-বাবা আমার খেলাধুলা বা বাহিরে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া পছন্দ করতেন না। অন্যদিকে আমি পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলায় ও অনেক ভালো ছিলাম। তাই আমি চাইতাম একজন ক্রিকেটার হইতে যা মা-বাবার একদমই পছন্দ ছিলো না। ছুটির দিনে বাজার করানোর জন্য আমাকে খুঁজে পাওয়া যেত না, প্রাইভেট টিচার এক দরজা দিয়ে ঢুকতো আর আমি অন্য দরজা দিয়ে ভেগে যেতাম। খেলার মাঠে থাকা হতো আর তাই মা-বাবা সিদ্ধান্ত নিলো আমাকে পাশের জেলা ফেনীতে স্কুলের হোস্টেলেই রেখে পড়াশোনা করাবে।
তারা ভাবলেন  এটাই হবে আমার খেলা বন্ধ করার জন্য উপযোগী জায়গা। কিন্তু তাদের সিদ্ধান্তটি ছিল সম্পূর্ণ ভূল। ঐখানে পরিবারের বাহিরে প্রথম গিয়ে আমার দিন গুলো খুব কষ্টে কাটলো। পড়াশুনাও হচ্ছিলো না ঠিক মতো। তখন ২০১২ সাল  আমি ছিলাম নবম শ্রেণিতে।  বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হওয়াতে যতটা পড়াশুনোয় সময় দেওয়ার কথা ততটা দিতে পাচ্ছিলাম না।  কিন্তু হোস্টেলেে থেকে জীবনে অনেক কিছু শিখলাম।  হয়তো পরিবারের সাথে থাকলে এই জীবনটার সম্পর্কে ধারণা থাকতো না। এভাবে মাধ্যমিকটা কেটে গেল। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হলো ঢাকা শহরে।
ঢাকা শহরে এসে শুরু হলো ঘুরাঘুরি, Youtubing, ছবি তোলা, নানারকম এক্সট্রা কারিকুলাম কাজ করা। মাধ্যমিকেে বিজ্ঞান বিভাগের সাবজেক্ট গুলোতে কিছুটা দূর্বলতা থেকে যাওয়াতে উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগটা আরো কঠিন লাগতে লাগলো।
দেখতে দেখতে সেটাও শেষ হয়ে গেল।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগও হলো না। মা-বাবা হতাশ আমার প্রতি, আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না। আমার জীবন নাকি ব্যর্থ হয়ে গেল ।  যাইহোক সবকিছু মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়া দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করলাম। বিজ্ঞান বিভাগের বিদায় জানিয়ে বিবিএ করার সিদ্ধান্ত হলো। চলতে লাগলো সব কিছু তার নিজের গতিতে।  কিন্তু আমি সব সময় ভাবতাম কিভাবে জীবনে অনেক বড় কিছু হওয়া যায়।  কিভাবে অল্প বয়সে টাকা ইনকাম করা যায়।  সবসময় সুযোগ পেলেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতাম।
হঠাৎ আগের সেই চঞ্চলতা হারিয়ে ফেললাম।  সব সময় পরিবারের ভালো মন্দ নিয়ে চিন্তা করি। অনেকটা পরিবার কেন্দ্রিক হয়ে গেলাম৷  তার পিছনেও কিন্তু একটা মানুষের আগমনী ছোঁয়া ছিল। আগের মতো খেলাধুলা করার ইচ্ছেটা ও হারিয়ে গেল। দেহটা ও অনেক ভারী হয়েছে।  সেই দানপিটে দোড়াদোড়ি এখন আর হয় না। বন্ধুদেরও পাই না এখন সবসময়। কেমন জানি গম্ভীর হয়ে  গেলাম। হয়তো বয়সের চাপ;
জীবনটা এখন ছোট্ট মোবাইলে স্বীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। যাইহোক,
জীবনের বলা হয়তো হয় নি কিন্তু এ জীবন আসলেই অনেক বিচিত্রময়।  কখন কিভাবে সব এলোমেলো হয় আবার সব গুছিয়ে যায় সব তো আল্লাহর ইশারা।
আমার ছোট বোনের সাথে ছোট বেলায় অনেক ঝগড়াঝাটি  হতো নিয়মিত।  দুজন দেড় বছরের বড় ছোট। ২০১২ এর পর বাসা থেকে যখন ফেনীতে পড়তে যাই তখন ভাই বোন কিংবা পরিবার কি জিনিস সেটা টের পাই। এই সুবাদে বোনের সাথে ঝগড়াঝাটির ইতি টানলাম।  বাসায় কয়েকদিনের জন্য আসা হতো তাই মেহমানের মতোই থাকা হতো।  জমজমাট খাওয়া দাওয়া ও  চলতো। ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি যখন বোনের বিয়ে দিয়ে বিদায় দিলাম ঐদিন থেকে পরিবারের মধ্যে একটা শূন্যতা কাজ করে।
বোনকে বিদায় দেওয়ার কষ্টটা অনুভব করি। তারপর পুরা পরিবারের দুবাইতে ঘুরতে যাওয়াটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।  যদিও আমি তার আগে ১০ বার দুবাই ঘুরে এসেছি তারপরও অনেক ভালো কেটেছে পুরো পরিবার থাকাতে। সবাই ১ মাস থেকে চলে আসলো আমি আরোও ২ মাস বাবার কাছে থাকা হয়।
দুবাই থেকে এসে বাবার সিদ্ধান্তেে ইন্ডিয়াতে সিভিল ইন্জিনিয়ারিংয়ে এডমিশন নেওয়া হয়। এখন ইন্ডিয়াতেই থাকা হয়। মাঝে দিয়ে সেমিস্টার এক্সাম শেষে বাড়িতে গিয়ে ঘুরে আসলাম।  এভাবেই কেটে যাচ্ছে জীবনের মূল্যবান সময় গুলো।  সব কিছু যেন অনেক তারাতারি ছুটছে। সামনে কি হবে তার অপেক্ষায়।

                                           (চলবে...)                                                                                                                                                                         

11 comments:

This is very Interesting Blogging Site. I Post Regularly more types of Interesting topics. Stay with me

Lockdown time Daily Routine | Alone life | West Bengal

Daily Routine | Lockdown Time  West Bengal | Alone Life      #Lockdown_Time #Daily_Routine  #Alone_life লকডাউনে আমার যেভাবে সারা...