Translate

Tuesday, 31 March 2020

Bangla Kobita - About Coronavirus || কবিতা - করোনা বন্দনা || New Poem About Coronavirus


Poem about Corona :-  কবিতা - করোনা বন্দনা

Name of poem: Corona Bandhana ?? 

Don't What is your name Don't say one thing Do you know now 
People have named you 
COVID - 19.

Why don't you say so
The people of the world on your arrival
 Doesn't hurt anymore.
All good now
The light of love is now burning in the country.


We don't see you
Someone other than you
 Don't be afraid anymore.
Are you with somebody
Meet in a dream
Someone take you again -
The story is fun.


We are afraid of you now.
 Not out of the house,
The only thing going on, Rob.
 How much dress, how careful
Only love for you (?)
Washing hands, sitting and
 lying down,
 No more time
Unarmed war And that's not good.

All over the world at your arrival-
As powerful as ever,
Being robbed helplessly -
After dust and soil.
The body is falling after the body.
Car capable of stopping,
All the efforts went in vain today-
To stop you

You are such a little king,
Big Kings Can't Find -
It's fine to give you.
When will you go Where to go?
The people of this world -
Be free of fear

How many people come to you-
Looking for a gap-
focus What a chance,
Greed has increased for them,
Luxury has increased.

Don't say, please don't-
 How long is this earth-
 Have you taken a lease?
Or you can't go any further -
As long as the people of this world-
Don't be a good person

করোনাকে নিয়ে কবিতা-

কবিতার নাম : করোনা বন্দনা


করোনা
সত্যি তোমার নামটা কি?
একটুখানি বলোনা।
তুমি কি জানো এখন,
মানুষ তোমার নাম রেখেছে
COVID - 19.

তুমি এমন কেন বলোনা-
তোমার আগমনে পৃথিবীর মানুষ
এখন আর হানাহানি করেনা।
সবাই এখন ভালো,
দেশে দেশে জ্বলছে এখন ভালোবাসার আলো।

তোমাকে আমরা দেখিনা,
তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে
এখন আর ভয় করিনা।
তুমি নাকি কারো সাথে-
সাক্ষাৎ করো স্বপ্নে,
কেউ আবার তোমাকে নিয়ে-
মজে যায় গাল গল্পে।

তোমার ভয়ে আমরা এখন-
ঘরের বাহির হইনা,
চলছে শুধু সাজ সাজ রব,
কতোনা পোষাক, কতোনা সজাগ,
শুধু তোমারি জন্য অনুরাগ(?)
হাত-মুখ ধোয়া, বসা আর শোয়া,
সময় যে আর কাটেনা,
অস্ত্র বিহীন এমন যুদ্ধ-
আর যে ভালো লাগেনা।

তোমার আগমনে সারা দুনিয়ার-
যত সব ক্ষমতাধর,
লুটায়ে পড়েছে অসহায় হয়ে-
ধুলা আর মাটির পর।
লাশের পরে লাশ পড়িতেছে-
রুখানোর সাধ্য কার,
সকল চেষ্টা বৃথা গেল আজ-
তোমাকে রুখাবার।

তুমি এমন এক ছোটো রাজা,
বড় রাজারা খুঁজে পাচ্ছেনা-
তোমাকে দিতে সাজা।
তুমি কবে যাবে? কোথায় যাবে?
বতদিনে এই পৃথিবীর মানুষ-
ভয়মুক্ত হবে?

তোমার আগমনে কত্তো লোক-
খুঁজছে কত্তো ফাঁক-ফোকর-
নিচ্ছে কতো সুযোগ,
লোভ-লালসা বেড়ে গেছে তাদের,
বেড়ে গেছে বিলাস-ভোগ।

বলোনা, বলোনা প্লিজ-
কতদিনের জন্য এই পৃথিবীটা-
নিয়েছো তুমি লিজ?
নাকি তুমি আর যাবেনা-
যতোদিন এই পৃথিবীর মানুষ-
ভালো মানুষ হবেনা।

Saturday, 28 March 2020

সম্পর্কে অবিশ্বাস || Impeachment Vs Love || Impeachment in Relationship || Distrust 😭

অবিশ্বাসঃ- 

সম্পর্কে  অবিশ্বাস। অনেক ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু তাঁর প্রভাব অনেক গভীর। মুহূর্তেই চারপাশটা বিষাদে ঢাকে, বিষিয়ে তোলে সবকিছু । সুন্দর সম্পর্কগুলো ঝড়ের মতো লন্ডভন্ড করে দেয়, আবার কখনো উড়িয়ে নিয়ে আছড়ে ফেলে এই অবিশ্বাস । অথচ পূর্বাভাসে সতর্ক হলে ঝড় সামাল দেওয়া কোনো বিষয়ই না.. কিন্তু মানুষের দ্বারা বেশির ভাগই সম্ভব  হয়ে উঠে না।
একটি সম্পর্ক তৈরী হয় দুইটি মানুষের বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে।  বিশ্বাস ছাড়া সম্পর্ক মূল্যহীন। প্রতিটি মানুষ জানে যেকোন মূহুর্তে মৃত্যু আসতে পারে।  কিন্তু মানুষ বেঁচে থাকার বিশ্বাস নিয়েই স্বপ্ন দেখে অদূর ভবিষ্যৎ নিয়ে।  আর এই বিশ্বাসই  মানুষকে বাঁচতে সাহায্য করে।
কারো প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করাটা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে থাকে। একই ভাবে বিশ্বাস অর্জন করাটা খুবই কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়।  কিন্তু এই বিশ্বাস গুলো ভেঙ্গে যেতে ২ টা মিনিটই যথেষ্ট। তবুুও মানুষ চেষ্টা করে যায় জীবন জুড়ে কারো বিশ্বাসের কেউ হতে। কেউ পারে  সফল হতে কেউবা সব হারিয়ে ফেলে। ভালোবাসা জীবনের একটা অংশ। আমরা অনেক ধরনের ভালোবাসার ছোঁয়া পেয়ে থাকি আমাদের জীবন জুড়ে।  ভালোবাসা আর অবিশ্বাস এবং প্রতিশোধ কখনো এক সাথে থাকতে পারে না।  প্রতিশোধের নেশা ভালোবাসা কে ধ্বংস করে দেয় অন্যদিকে ক্ষমা ও সম্মান ভালোবাসা কে একটা অন্য উচ্চতা দেয়। 
আমরা কেউ আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর দেখা পাই নি তবুও আমরা তাকে বিশ্বাস করে তার উপরে ঈমান আনি।  তাঁকে না দেখে তার অস্তিত্ব অনুভব করে তাঁকে ভয় করি। ঐযে কথায় বলে ; বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।  এভাবে সবকিছুতে আমাদের বিশ্বাস স্থাপন করা উচিত যাচাই করে।
বেশি অন্ধ বিশ্বাস ভালো হয় না।  সঠিক যুক্তির মাধ্যমে বিবেচনা করে আমাদের বিশ্বাস স্থাপন করে একটি সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নেওয়া উচিত। প্রেম ভালোবাসার একটি সম্পর্ক মানুষকে বাঁচতে শেখায় আবার মানুষের মূল্যবান জীবনটি ও নষ্ট করে ফেলে। বিশ্বাসের ভিত্তির উপরে দাঁড়িয়ে এসব সম্পর্ক তৈরী হয় আবার অবিশ্বাসের বেড়াজালে জড়িয়ে সব শেষ হয়ে যায়।  😭

একটি সম্পর্কে নানা ভাবে অবিশ্বাস মিশতে পারে যেমন ; তৃতীয় কোন ব্যক্তির মাধ্যমে, নিজেদের কর্মের মাধ্যমে,  অবস্থা ভেদে ইত্যাদি কারণে দুটি মানুষের মাঝে অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়।  একবার যদি অবিশ্বাস প্রবেশ করে তাহলে ঐ সম্পর্কটির আগের মতো প্রাণময়  হয়ে উঠে না।  এটি মরণঘাতী ভাইরাসের মতোই।  সম্পর্ক শেষ করেই শান্ত হবে..
তাই আমাদের উচিত যতই কিছু হউক না কেন একটি সম্পর্কের মাঝে যেন বিশ্বাস বেঁচে থাকে সেদিকে সচেতন হওয়া।  আর তাহলেই আমাদের সম্পর্ক গুলো ঠিকে থাকবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগ পর্যন্ত।
                        

Mistrust: 

Mistrust about A word too small. But his influence is profound. Immediately all around gloom, gloom makes everything.. Beautiful relationships wind down like a storm, and this mistrust is sometimes blown away. But being careful with the forecast is not something to handle the storm .. But most of the time is not possible by humans..
A relationship is formed based on the beliefs of two people. Without trust the relationship is worthless. Every man knows that death can come at any moment. But people dream about living in the near future. And this belief helps people to survive..

It is very difficult to believe in someone. In the same way, gaining trust becomes a difficult task. But 2 minutes is enough to break these beliefs. Yet people try to be someone of their faith throughout life. Someone may be successful or someone loses everything.. 

Love is a part of life We receive many kinds of love throughout our lives. Love and disbelief and revenge can never be together. The intoxication of revenge destroys love, while forgiveness and honor give love another height.
None of us have seen our Creator the Great God yet we believe in Him. Without seeing him, I feel his existence and I fear him. They say; In fairness, the object of the fair is far from contentious. Thus, we should put our trust in everything. More blind faith is not good. Considering the right logic, a relationship should be taken forward by establishing our beliefs.

Standing on the basis of faith, these relationships are formed, and in the wake of unbelief, all ends..

There can be mistrust in various ways such as; Through a third person, through their actions, piercing the situation, etc., there is mistrust between two people. Once unbelief enters, the relationship does not become as life-threatening as before..It's like a deadly virus. It'll be cool to end the relationship .. So we need to be aware that no matter what, faith in a relationship lives on. And then our relationship will be fine until the last breath.. 😵

Kolkata, West Bengal

India   

                                                          

Wednesday, 25 March 2020

Bangla Kobita 2020 || Missing Poem Bangla || @Md. Piash Hasan

অনুপস্থিতি

-পিয়াস হাসান

 
জানো,
     আজ আবার রংধনু উঠেছে আকাশে তুমুল ঝড়ের পর,
                    আজ সূর্য তবুও হাসছে না,
               তুমি নেই বলে।
জানো তো,
    আজ বাগানে অনেক ফুল ফুটেছে,
                  রঙ্গিন হয়েছে পুরো বাগান, তবু গন্ধ ছড়ায় না,
            শুধু তুমি নেয় বলে।
   আজ ব্যস্ত সবাই, ব্যস্ত আমি হাজারো মানুষের ভিড়ে,
                            তবুও শূন্যতা থেকেই গেছে,
                      তুমি নেয় বলে।
আজ হয়তো তোমায় ছাড়া আমি থাকতে পারছি,
                 তবে তোমার ভাবনা আজ আমার অভ্যাস,
   এই হাসি,এই কাঁদি,এই আনমনা,
                      শুধুই তুমি নেয় বলে।

Saturday, 21 March 2020

Dubai Tour || Travelling to Dubai || Burj Al Khalifa Tour

দুবাই ভ্রমণ

পারিবারিক ভাবে দুবাইয়ের সাথে একটা সম্পর্ক থাকায় ছোট বেলা থেকে দুবাই যাওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। সুযোগটা ও চলে আসলো ২০১৪ সালে। ২০১৩ সালের শেষের দিকে পরিবারের সবার পাসপোর্ট করা হয় দুবাই যাওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তখন আর যাওয়া হলো না।  পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ১৬ই ডিসেম্বর রাতে আমি একা চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে দুবাই যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হই। জীবনের প্রথম বিমানবন্দরের ভিতরে ঢুকলাম তাও একা। বোর্ডিং পাসের জন্য লাইনে দাড়ালাম সবার প্রথমে।             
ঐখানে দায়িত্বরত এক অফিসার আমাকে জিজ্ঞেস করলেন কোথায় যাবা.??, বাড়ি কোথায়.?  নতুন যাচ্ছো নাকি..?  আমি আমার পরিচয়টা দিয়ে বললাম বাবার কাছে ঘুরতে যাচ্ছি। আর একা এবং নতুন যাচ্ছি। এটা শুনে আমাকে বলেন যে তুমি পাশে দাঁড়াও। আমি দাঁড়িয়ে থাকলাম আর সবাইকে বোড়িং পাশ দিয়ে বিধায় করতেছে। সবার প্রথমেে থেকেও আমাকে শুধু শুধু অপেক্ষা করিয়ে রাখলো। খুব অসহ্য লাগতেছিল, মনে মনে বকা দিলাম ওদেরকে। তারপর ভারী একটা ব্যাগ কাঁধে নিয়ে শাহ আমানত বিমানবন্দরের লিফট দিয়ে ইমিগ্রেশনের ঐখানে লাইনে দাঁড়ালাম। বিশাল লাইনের পিছনে দাঁড়িয়ে যখন ইমিগ্রেশন পুলিশের সামনে আসলাম পাসপোর্ট সিল মেরে ছবি তুলে আমাকে সহ আরো দুইজনকে একটা ছোট রুমে নিয়ে গেল।
আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম আমার কাগজ পত্রেে সমস্যা হলো নাকি। তারপর দেখি ছোট রুমটার মধ্যে একটা মোটা করে পুলিশ বসে আছে। আমাকে বলল দুবাই কেন যাবা, কে থাকে ঐখানে। ঘুরতে যাবো বলাতে বলে যে বাংলাদেশে কি ঘুরার জায়গা কম আছে নাকি। এইটা বলার পর হেসে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো ভয় পেয়েছো.?? আমি বললাম হুম। বলে যে যাও ভয়ের কিছু নেই তোমার সাথে মজা করলাম।   
এরপর ওয়েটিং রুমে গিয়ে বসলাম। মনে মনে ভাবছি একা কিভাবে বিমানে বসে নিজেকে সামলাবো, ভয় হচ্ছে বিমান ভ্রমণ নিয়ে। একটু পরেই সবাইকে ডাকলো বিমানে ঢুকার জন্য।  হ্যান্ড ব্যাগটা নিয়ে বিমানের মধ্যে ঢুকতেছি এমন সময় দেখি সাদা চামড়ার খুব সুন্দরী বিদেশি পরী একটা দাঁড়িয়ে ওয়েলকাম ওয়েলকাম বলছে। ভিতরে গিয়ে বসলাম। পাশের মানুষটার দিকে তাকি সিট বেল্ট বাধাটা শিখে নিলাম।  আমার সিট-টা বিমানের জানালার পাশে ছিল। বাহিরে তাকিয়ে সব দেখতে পাচ্ছিলাম।  বিমান ছেড়ে দিল, আস্তে আস্তে চলে হঠাৎ খুব দ্রুত বেগে গিয়ে উপরে উঠে গেল।  বুকের ভেতরটা ভয়ে কেঁপে উঠলো। 
নিজেকে সামলিয়ে নিলাম আর দোয়া পড়তেছিলাম সবার সাথে।                 
বিমান উপরে উঠে যাওয়ার পর ভয়টা অনেকটা কমে গেল।  তারপর ৫ ঘন্টার সময়টা অনেকটা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলাম।  মাঝে মাঝে সিটের উপরে থাকা মনিটরেে দেখছিলাম আমরা কত হাজার ফুট উপরে আছি, কোন দেশের উপরে দিয়ে যাচ্ছি আর কত মিনিটে লাগবে ল্যান্ড করতে সেটা খেয়াল করছিলাম। বিমান যখন দুবাইয়ের আকাশে আসছিলো তখন জানালা দিয়ে নিচের হাজার হাজার সোডিয়াম লাইটের আলো দেখা যাচ্ছিলো। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম। খুব সুন্দর ও গুছানো শহরটা রাতের বেলায় অসাধারণ লাগতেছিলো।
অবশেষে নামলাম সারজাহ বিমানবন্দরে। নেমে একটা লোকের মোবাইল থেকে আব্বুকে কল দিলাম। আব্বু বললেন এক্সিট ডোর দিয়ে বের হলেই তাকে দেখতে পাবো। তারপর ইমিগ্রেশনপর জন্য লাইন ধরলাম।  কিন্তু যারা নতুন গিয়েছিল সবাইকে একটা রুমে যেতে বললো আরবিতে।  আমি বুঝি নি কি বললেন শুধুমাত্র ইংরেজিতে শুনলাম Eye Test করবে আমাদের।  তারপর সবার পিছে পিছে গিয়ে Eye Test  করে নিলাম।  তারপর ঘুরন্ত বেল্ট থেকে ব্যাগ গুলো নিয়ে বের হলাম সবার পিছু পিছু।  বাহিরে যাওয়ার আগেই গ্লাস দিয়ে দেখি আব্বু দাঁড়িয়ে আছে।

 তারপর আব্বুর সাথে গিয়ে গাড়িতে বসলাম।  আব্বু গাড়ি চালাচ্ছেন আর আমি ডানে বামে তাকিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করতেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ দেশের জন্য কেমন একটা শূন্যতা কাজ করলো মনের ভেতর। দেশের কথা ভাবতেই দম বন্ধ হয়ে আসতে লাগলো। যাই হোক, বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে ঘুমালাম।  পরের দিন আব্বুর সাথে ভোরে উঠেই আমাদের দোকানে গেলাম।  আশেপাশের সবকিছু অনেক গুছালো ও পরিপাটি।
অনেকগুলো আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা হলো সবাই সালামি দিলো। বাবার সাথে ঘুরতে যাওয়া হয়েছিল  অনেক আরাবিয়ানদের বাসায়। কিংবা দোকানেও অনেক আরাবিয়ানরা এসেছিল। ওরা ও আমাকে টাকা দিলো  নতুন ঘুরতে গেলাম তাই।  অনেক গুলো টাকা জমা হয়েছিল আমার। যাইহোক বিকালে আব্বুর সাথে নাস্তা করতে গিয়েছিলাম বাংলা ক্যাপেটেরিয়াতে। গিয়ে দেখি অনেক গুলো বাঙালি ও কাকা, মামা, দাদা, ভাইয়া এইরকম সম্পর্কের অনেক মানুষ।  সবার সাথে দেখা হলো, কথা হলো। অনেকে অনেক কিছু খাওয়ালো।

ঘুরাঘুরিঃ

আব্বুর দুবাইতে কনস্ট্রাকশনের কাজ তাই তার সাথে গাড়িতে করে অনেক কাস্টমারের বাড়িতে যাওয়া হলো। পুরো সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমার ঘুরাঘুরি শুরু হলো।

(১) শেখ জাহিদ মসজিদঃ  

যাওয়া হলো আবুধাবির শেখ জাহিদ মসজিদে।  দৃষ্টি নন্দন স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন মসজিদটি।  এক দেখাতে  মানুষ মুগ্ধ হয়ে যাবে আমিও মুগ্ধ হয়েছি বারবার। অপরূপ মন মুগ্ধকর কারুকাজ আমার মন ছু্ঁয়ে নিয়েছে।

(২) আবুধাবি মেরিনা মলঃ 

বিশাল বড় বড় আঁকাবাঁকা দালান পেরিয়ে সমুদ্রের তীরে মেরিনা মলের অবস্থান। অনেক বড় পার্কিং ব্যবস্থা রয়েছে ক্রেতাদের জন্য।  আমি আব্বুর ভেতরে গেলাম।  অনেক সুন্দর  করে সাজানো  ও ভালো ভালো প্রোডাক্টস রয়েছে।  কিছুক্ষণ  বাপ ছেলে ঘুরে খাওয়া খেয়ে অল্প পরিমাণে শপিং করে বেরিয়ে এলাম।  পুরো পরিবেশটা অনেক বেশি গুছালো ও নিয়ম তান্ত্রিক  দেখে ভালোই লাগলো।

(৩)  মরুভূমি ভ্রমণঃ

দুবাইয়ের  মরুভূমির উপরে নিজে ড্রাইভিং করলাম।  চারদিকে  যতদূর চোখ যাচ্ছে  শুধুই বালি আর বালি।  মাঝে মাঝে কিছু উট দেখা যাচ্ছিলো ।  গাড়ি থেকে নামলাম,  তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির উপরে।  বালি গুলো দূর থেকে অনেক সুন্দর লাগছিলো।  জীবনে প্রথম মরুভূমির উপরে হেটে মনে মনে অনেক কিছু ভাবতেছিলাম। খুব এনজয় করলাম।

(৪) জুমেরা সি-বিচঃ

বিখ্যাত  দুবাই শহরের প্রাণ কেন্দ্রে এই সমুদ্র তটটির অবস্থান।  সমুদ্রে  নামলে পিছনে  বুর্জ খলিফার দৃশ্য  দেখা যায়।  সমুদ্র ততটি খুব পরিষ্কার ও দৃষ্টি নন্দন। কয়েকটি চাচ্চু সহ সমুদ্রে নামলাম।  সবাই মিলে ২ ঘন্টার  মতো গোসল করলাম খুব মজা হলো। 

(৫) দুবাই মল ও বুর্জ খলিফাঃ

দুবাইতে যাওয়াটা স্বার্থক হয়েছে এই জায়গাটাতে গিয়ে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড়  বিল্ডিং দেখার জন্য  খুবই  এক্সাইটেড ছিলাম। দুবাই মলের মধ্যে দিয়ে হেটে হেটে বুর্জ খলিফার Water Magic এর সামনে দাঁড়িয়ে দেখাটা স্বপ্নের মতো ছিল।  ঘাড় টা বাঁকা করে উপরের দিকে তাকিয়ে ১৬৫ তলা স্থাপনা দেখতে হয়েছিল ।  মনে হচ্ছে উপরে দিকটা মেঘকে বেধ করে উপরে চলে গিয়েছে।  তারপর সন্ধ্যায় Water Magic এর কারুকাজ টা দেখে সত্যি  অনেক অবাক হয়েছি। পানি দিয়ে এভাবেও  বানানো  সম্ভব তা কল্পনা ও করিনি কখনো।

তাছাড়া আরো অনেক শপিং মল গুলোতে বাবার সাথে ঘুরতে ও শপিং করতে যাওয়া হয়েছিল ।  অনেক ভালোই কেটেছিল।  আরো ১১ বার যাওয়া হয়েছিল দুবাইতে।  পুরো আরব আমিরাতের সব সুন্দর জায়গা গুলোতে আমার ঘুরা হয়েছে। সর্বশেষ মা, ছোট ভাই ও বোন নিয়ে দুবাইতে গিয়েছি ২০১৯ এর রমজানে।
দুবাইয়ের  স্মৃতি গুলো কখনো ভূলে যাওয়ার নয়।  সত্যিই দুবাই অসাধারণ।  
                       

                                                                     


                   

Thursday, 19 March 2020

Misunderstanding in Relationship || ভূল বুঝাবুঝি | @ Md. Piash Hasan

Misunderstanding

ভূল বুঝাবুঝিঃ-

ভূল বুঝাবুঝি ও অভিমান  সম্পর্কের মধ্যে থাকা অনেক বড় একটা প্রাণঘাতী ভাইরাসের মতোই। বেশিরভাগ সময়ই এই ভাইরাসটির জন্য সম্পর্কের ইতি টানতে হয়। একটি সম্পর্ক তৈরী করা যতটা কঠিন ঠিক ততটাই সহজ এটিকে শেষ করে দেওয়া। তিল তিল করে গড়ে তোলা এক একটি সম্পর্ক অনেক মূল্যবান হয়ে থাকে। যার সাথে জড়িয়ে থাকে অনেক স্মৃতি, ভালোবাসা, অভিমান, ভূল বুঝাবুঝি আরো অনেক কিছু।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, মানুষ যতটা কষ্ট আর সাধনা করে একটা সম্পর্ক তৈরী করে তার ১০ ভাগের ১ ভাগ ও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে করে না। আর তাই আমরা সত্যিকারের সম্পর্ক ও  ভালোবাসা পেয়েও হারিয়ে পেলি। একটি সম্পর্ক হয়ে যাওয়ার পর আমরা সেটাকে অবহেলা করি দিনের পর দিন। ছোট্ট একটা ভূলের জন্যও ক্ষমা না করে ইগো টাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। যার ফলাফল আমরা খুব খারাপ ভাবেই ভোগ করি।

একটি ভূল সিদ্ধান্ত ও  অতিরিক্ত ইগো আমাদের জীবন নষ্ট করে ফেলার জন্য যথেষ্ট। আর এসবের জন্য আমরা অনেক আপনজনকে হারিয়ে ফেলি। তারপর ও মানুষ এমন একটা প্রাণী যে সহজে ভূল থেকে শিক্ষা নিতে চায় না। বার বার একি ভূল করার পরও আমরা ঠিক হই না। হয়তো মানুষ ভূল করতেই বেশি পছন্দ করে। 
যাকে ছাড়া তুমি থাকতে পারবে না জানো তাকে দূরে সরিয়ে দিও না। তাকে অবহেলা করে ইগো দেখিও না। মনে রেখো হয়তো তোমার রাগ, অভিমান, ইগো সবকিছু একটা সময় শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সে মানুষটাকে তোমার জীবনে আর নাও ফিরে পেতে পারো।  তখন তুমি বঝবে তুমি কতটা সঠিক ছিলে। কিন্তু সেই বোঝা দিয়ে তখন কিছুই হবে না। বড্ড দেরি হয়ে গেল তখন।
সুতরাং মনে রেখো; রাগ, অভিমান আর অবহেলা করার পরিমাণটা বুঝে শুনে,মেপে আর ভেবে কইরো। 🙄 

★★ Misunderstanding and pride are like a fatal virus in a relationship. Most of the time, the virus has to end the relationship. Building a relationship is just as easy as ending it. Sesame is a very valuable relationship. Many memories, love, pride, misunderstandings, and many more.


But sadly, the truth is, as much as people try and make a relationship, they do not have to share their 5 percent and sustain the relationship.. And so we lose even the true relationship and love. We neglect it once a relationship has been made, day after day. I prefer the Ego Taka, without even forgiving the one little mistake. The consequences of which we suffer very badly.
One wrong decision and extra Iago is enough to ruin our lives. And for this we lose a lot of people. Then he is a creature that does not want to be easily mistaken. We are not okay even after repeated mistakes. Maybe people like to make mistakes.

Don't move away from someone you know you can't live without. Don't neglect him, Iago. Remember that maybe your anger, pride, Iago will be gone for a while. But you can never get that person back in your life. Then you realize how right you were. But with that burden nothing will happen. It was too late. So remember; Understand the extent of anger, pride, and neglect, measure and think.



Ki 


                                                             

Beauty of Islam || Islam the best Solution of Human Life || ইসলামের সৌন্দর্য

Islam the Solution of Human Life

Beauty of Islam

ইসলামের সৌন্দর্য

ইসলাম ৫ টি মৌলিক বিষয় বস্তুর উপরে দন্ডায়মান। (১) কালেমা (২) নামাজ (৩) রোজা (৪) হজ্জ এবং যাকাত। যেকোন মানুষ আল্লাহর উপরে পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে আর হযরত মুহাম্মদ (স:) কে আল্লাহর প্রেরিত বান্দা ও রাসূল মেনে কালেমা পড়ে মুসলমান হতে পারবে। মুসলমান হলেই তার উপরে ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়ে যায়।  প্রতিটি মুসলমান নর নারীকে নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক। নামাজ মানুষকে আল্লাহর নৈকট্য লাভে সাহায্য করে।  দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে তার শরীর সুস্থ থাকে।  চরিত্র সুন্দর হয়। একজন নামাজি ব্যক্তি কারো ক্ষতি করতে পারে না। করাণ তার মনে সর্বদা আল্লাহর ভয় থাকে।
নামাজ মানুষকে নানাবিধ রোগ থেকে রক্ষা করে। নামাজি ব্যক্তি আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় বান্দা।
রোজা আমাদের অনেক কিছু শেখাতে সাহায্য করে। একজন গরীব লোক না খেয়ে থাকার কষ্টটা সবাই অনুভব করতে পারে।
ফলে মানুষের মধ্যে দয়া মায়ার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া রোজা আমাদের ধর্যশীল করে তোলে। প্রতিটি সামর্থবান মানুষের উপরে হজ্জ করা ফরজ।  হজ্জ করলে ঈমান মজবুত হয়,
আকীদা বাড়ে, তাকওয়াপূর্ণ হওয়া যায়। তাছাড়া গুনাহ মাফ পাওয়া যায়। আল্লাহর ঘরে নামাজ পড়া ও তাওয়াফ করার সৌভাগ্য হওয়া অনেক বড় ব্যপার। নদীর রওজা যিয়ারাত করা মুসলমান হিসাবে বিশাল ব্যপার। 
যাকাতের নিসাব পরিমান সম্পদ যার কাছে আছে তার উপরে যাকাত দেওয়া ফরজ। যাকাত হলো গরিবের হক। একমাত্র ইসলাম ধর্মে এই সুন্দর নিয়মটি রয়েছে। আপনি ধনী হবেন আর গরিবের দেখাশুনা করবেন তা আমার আল্লাহ দেখতে পারেন না।  আর তাই গরিবের মাঝে যাকাতের পরিমান অনুযায়ী বিলিয়ে দেওয়া হয়। একজন মুসলমান হতে পেরে আমি গর্ববোধ করি। ইসলাম আমার অহংকার। আর এগুলোই ইসলামের সৌন্দর্য। ইসলামে সবাই সমান। আসুন, ইসলামের ছায়া তলে এসে নিজের জীবনকে রাঙিয়ে তুলি। তাহলে আমাদের জীবন হবে সুন্দর ও পরিমার্জিত। আর পরকালে পাবো চির শান্তির স্থান জান্নাত। আল্লাহ আমাদের মেনে চলার তৌফিক দিন   -আমিন 💗                                                                    

The Religion of Islam || Introduction of Islam || ইসলাম ধর্মের পরিচয়

The Religion of Islam

Introduction 

ইসলামের পরিচয়ঃ- 

ইসলাম হলো আল্লাহ প্রদত্ত মানবজাতির মনোনীত দিন ব্যবস্থা। একটি মানুষের জীবন কিভাবে দুনিয়ার বুকে পরিচালিত হবে সেটা ইসলামই সর্বোত্তম সমাধান। ইসলাম শান্তির ধর্ম। যেখানে নেই কোন জাতি, বর্ণ,ধনী গরীবের ভেদাভেদ। ইসলামের ছায়া তলে সবাই সমান। তাই তো ইসলাম দুনিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্ম।
মহান আল্লাহ সুবহানাহু তাআ'লা  আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ) কে দুনিয়ায় পাঠানোর পর থেকে যুগে যুগে মানুষকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য প্রায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার পয়গম্বর প্রেরণ করেছিন। মানুষ তাদের কখনো ভালোভাবে মেনে নিয়ে তাদের দেখানো পথে চেলেছে আবার কখনও তাদের অস্বীকার করেছেন। সর্বশেষ আল্লাহ তার বন্ধু হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে দুনিয়ায় প্রেরণ করলেন গোটা দুনিয়ার মানবজাতির আলোর দিশারি হিসাবে। তিনি বিখ্যাত মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশের আবদুল্লাহ ও মা আমেনার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাধ্যমেই মাহান আল্লাহ নবুওয়তের সীলমোহর করে দেন। তিনিই এই জগতের শেষ পয়গম্বর। পূর্ববর্তী নবীদের  আল্লাহ নির্দিষ্ট কোন জাতি গোষ্ঠীর জন্য প্রেরণ করেছিলেন।  কিন্তু মহানবী (সঃ) কে পুরো দুনিয়ার মানবজাতির হেদায়েতের জন্য পাঠিয়েছেন।
আর মহানবী (সঃ)  ছিলেন ইসলাম ধর্মের প্রচারক।  যার মাধ্যমে আরবের মানুষ সভ্য হয়েছিল।  যার জীবনাদর্শ মেনে চলতে পারলে আমাদের জীবন হবে খুব সুন্দর ও পরিমার্জিত।                                                       

মহানবী (সঃ) মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন ছোট বেলা থেকেই। মক্কার সবার কাছে তিনি আল-আমীন নামে পরিচিত ছিলেন। 

নবুওয়ত লাভের পর তিনি আল্লাহর বাণী গুলো মানুষের কাছে প্রচার করেছিলেন। অনেক মানুষ তার কথায় সাড়া দিয়ে ইসলাম গ্রহন করলো। তিনি মানুষকে দেখিয়েছেন কিভাবে চললে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।  কোন পাথে আছে শান্তি বা পরকালের নাজাত।  তার দেখানো পথে সাহাবিদের জীবন পরিচালিত হয়ে তারাও হয়েছিল মানুষের প্রিয়। ইসলামকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করতে অনেক গুলো যুদ্ধেও জড়াতে হয়েছিল কাফের মুশরিকদের বিরুদ্ধে। অবশেষে মহানবী (সঃ) এর ইন্তেকালের পূর্বে বিদায় হজ্জের ভাষণে যে কথা গুলো মহানবী বলেছিলেন সে গুলো মাথায় রেখে সাহাবিরা বেরিয়ে পড়লেন পৃথিবীতে। 
আর ইসলাম ছড়িয়ে পড়লো দুনিয়া জুড়ে।  বর্তমানে ১৭০ কোটি মুসলমান দুনিয়া জুড়ে বসবাস করে। কিন্তু মুসলমানদের ঈমান এখন অনেকটা নরবরে।  ইহুদী খ্রিস্টানদের সাথে পাল্লা দিয়ে মুসলমানরা তাদের সংস্কৃতি ভূলে গেছে।  তাই আজ তদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে।  একদিন ইসলামের আবার সোনালী দিন আসবে ইনশাল্লাহ।  ইমাম মাহাদীর অপেক্ষায় গোটা মুসলিম জাতি 💖                                             

Wednesday, 18 March 2020

Bangladesh || Evergreen Bangladesh || বাংলাদেশ

Evergreen Bangladesh

Motherland (মাতৃভূমি)


বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা পাওয়া ক্ষুদ্র একটি দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর এই দেশটির জন্ম হয়
রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে।  এদেশের বেশির ভাগ মানুষ গ্রামে বসবাস করে।  তাদের প্রধান কাজ হলো কৃষি। এদেশের রয়েছে বিস্তার ফসলের মাঠ।  চারদিকে সবুজের সমারোহ।  ফসলের জমি চাষ করে এদেশের বেশির ভাগ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। তাছাড়া এই দেশ নদীমাতৃক দেশ। নদী এদেশের মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা দিয়েছে। নদীতে মাছ ধরে হাজার
হাজার পরিবারের জীবিকা চলে। এদেশের প্রচুর মানুষ দারিদ্র্য স্বীমার নিচে বসবাস করে। যারা প্রতিনিয়ত জীবনের সাথে লড়াই করে যাচ্ছে তিন বেলা দু' মুঠো ভাত খাওয়ার জন্য। 
অন্যদিকে ক্ষরশ্রোতা নদী অভিশাপ হয়ে আসে। পদ্মা,  মেঘনা,  যমুনা এদেশের সবচেয়ে বড় নদী। আর প্রতি বছর হাজারো মানুষ এই নদীর গুলো গর্ভে হারিয়ে ফেলে তাদের শেষ আশ্রয়।
নদী ভাঙ্গন এদেশের মানুষের খুব পরিচিত সমস্যা। 
      
এদেশের ফসলী জমি গুলো তে বেশির ভাগই ধান উৎপাদন করা হয়। ধান উৎপাদনেে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ।  কিন্তু এইদেশের কৃষক তাদের নায্য দাম পায় না।  ফলে ধান চাষে কৃষক আগ্রহ হারাচ্ছে।  একসময় এদেশে নতুন ধান ঘরে তোলার আলাদা একটা মজা হতো।  পিঠা পুলির উৎসব হতো। সব কিছু এখন হারিয়ে গেছে।
বাঙালি তার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি হারিয়ে পেলতেছে। আধুনিক হওয়ার নামে মানুষ গুলো তাদের সোনালী অতীত গুলো ভূলে যাওয়ার পথে।  যে জাতি বাংলা ভাষার জন্য সংগ্রাম করে জীবন দিয়েছে তারা আজ ইংরেজি না পারার জন্য চাকরি পায় না। এদের মানুষ এতই অকৃতজ্ঞ যে তারা বাঙালির হাজার বছরর  শ্রেষ্ঠ সন্তান শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছে।  এর চেয়ে লজ্জা ও অপমানজনক কিছু হতে পারে না।
যাই হোক অন্য কথায় আসি, বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ। এদেশের ৯০% মানুষ মুসলমান। হযরত শাহজালাল, শাহপরানের  এই জমিন মুসলমানদের রক্তে উর্বর।
বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। এদেশে রয়েছে প্রাকৃতিক জ্বালানি গ্যাস, রয়েছে  কয়লা, তেল, নানা রকমের কঠিন শিলা। যা আমাদের জন্য খুব উপকারি।
প্রতি বছর অসংখ্য বিদেশি পর্যটক এদেশে ঘুরতে আসেন।  তারা কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, সিলেটের চা বাগান, চট্টগ্রামের সাজেক ভ্যালি, বান্দরবান,  রাঙ্গামাটির পাহাড়, সুন্দরবন ঘুরে বেড়ায়।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে,  এগিয়েছে বাংলাদেশের জিডিপি।  এখন এদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়। দেশের উন্নয়নেে সবাইকে ভূমিকা রাখতে চেষ্টা করা দেশপ্রেমিকের পরিচয়।           
দেশ ও দেশের মানুষকে কতটা ভালোবাসি সেটা দেশের বাহিরে থেকে বুঝতেছি।  জীবনের শেষ নিশ্বাসটা আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে ত্যাগ করতে চাই।  অনেক ভালোবাসি আমার সোনার বাংলাদেশকে।  💖                                                                         
Loading ...       

                                

Tuesday, 17 March 2020

About School life || The Golden moment of life 😭 || স্কুল জীবনের সেই দিনগুলো

School life (স্কুল জীবন)

সদ্য পারিবারিক গন্ডি পেরিয়ে যাওয়া শিশুটির স্কুল জীবনের শুরু। যদিও ইচ্ছার বিরুদ্ধে শুরুটা হয়ে থাকে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ভালোলাগা ভালোবাসা তৈরী হয় স্কুলের প্রতি। নতুন নতুন বন্ধু তৈরী হয়। স্কুলের প্রাঙ্গণে ছুটাছুটি করে শৈশবের দিনগুলো কাটতে থাকে। 
  কতই না সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো।  স্কুল মাঠে দৌড়াদৌড়ি করা, খেলাধুলা করা,  শিক্ষকদের বকাবকি, টিফিনেে পালিয়ে খেলতে যাওয়া কতই না বৈচিত্র্যময় ছিল। জ্বর, মাথা ব্যাথা, পেটে ব্যাথা, দাদা-দাদি, নানা-নানি মারা যাওয়ার নাম দিয়ে স্কুল ফাকি দেওয়া ছিল কমন অজুহাত। বন্ধুদের সাথে ক্লাসেে কলম মারামারি খেলা, হেড টেল খেলা, পিছনের বেঞ্চে ঘুমানো সেসব এখন শুধুই স্মৃতি। শিক্ষকদের নানা ছদ্মনামেে ডাকা অনেক মজা হতো। হারিয়ে ফেলা দিনগুলো বার বার ফিরে পেতে ইচ্ছে করে।
জানি কখনো আর সেই সোনালী শৈশব ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।  সময় বড়ই নিষ্ঠুর।  নিজ গতিতে বহমান সবসময়।
স্কুল ছুটি দিলে সবাই মিলে মজা করে করে বাড়ি ফেরা হতো। পরীক্ষা শেষে বন্ধের অপেক্ষায় থাকা হতো। কখন বেড়াতে যাবো তার আশায় থাকতাম। বন্ধুরা মিলে আম, ডাব, হাঁস মুরগী চুরি করে খেতাম। শৈশবের সেই দিনগুলো খুব মিস করি।  আজ সেই বন্ধুরা যার যার কাজে ব্যস্ত। আগে এগরো জন মিলে বল কিনে খেলা হতো। আর এখন  একজনের বল টেপ কিনার সামর্থ আছে কিন্তু ঐ ১১ জন বন্ধু নেই.. যত বড় হচ্ছি জীবনটা তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে।                                             

  

Importance of family in human life || What is Family.? || পরিবার 💖

Importance of Family in human life :  

 একটি মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তার পরিবার। প্রতিটি মানুষ কোন না কোন পরিবারে জন্মগ্রহণ করে। আর তাই তার চিন্তা চেতনা, স্বপ্ন সবকিছুই তার পরিবার কেন্দ্রিক হয়। পরিবার হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে দূর্বল স্থান। 
একটি শিশু জন্মের পর থেকেই পরিবারে বড় হয়ে উঠে। আর তাই মনুষ্যত্বের প্রাথমিক শিক্ষা মানুষ পরিবার থেকেই পেয়ে থাকে। পরিবার মানুষকে সত্য মিথ্যা, ন্যায় অন্যায়ের ভেদাভেদ শেখায়। একটি শিশু বড় হয়ে কি হতে যাচ্ছে সেটা অনেকটাই পরিবারের উপরে নির্ভর করে। অনেকগুলো পরিবার নিয়ে আমাদের এক একটা সমাজ তৈরী। আর এই সমাজে চলতে হলে অনেক আচার-আচরণ, নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। যা আমাদের একজন দায়িত্বশীল মানুষে পরিণত করে। আর এই শিক্ষা গুলো আমরা পরিবার থেকে পেয়ে থাকি। তাই পরিবার আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ।
                                          

Monday, 16 March 2020

Autobiography || Introduced About Myself || How to Write Autobiography || Md. Piash Hasan

আত্মজীবনী (Autobiography)  

সময়টা ১৯৯৭ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর, সোমবার 
(বাংলাঃ ২৭ ভাদ্র, আরবিঃ ২৯ যিলকদ; সকাল-৮ঃ১৫ মিনিট)

মা-বাবার কোল  জুড়ে দুনিয়ায় আসলো ফুটফুটে এক শিশু। শিশুটিকে দেখে সবাই কিছুটা অবাকই হলো, কেউ কেউ কিঞ্চিৎ ভয় পেয়ে উঠলো। কারণ শিশু ছেলেটি দেখতে খুবই সুন্দর ছিল আর দুধের মতো সাদা ছিল। সত্যি কথা বলতে কি তাই সবাই ভাবলো জ্বীন নাকি ছেলেটা ।😁 আত্মীয় স্বজনরা কোলে নিতে ভয় পাচ্ছিলেন। এরপর বাবার নামের সাথে মিলিয়ে ছেলেটির নাম রাখা হলো মোঃ শহিদুল্লাহ। আর ডাক নাম রাখা হলো পিয়াস। পরবর্তী সময়ে জন্মসনদে পরিবর্তিত হয়ে নাম হলো মোঃ পিয়াস হাসান।  এখন সবাই তাকে এই নামেই চিনে। আসুন পিয়াসের সাথে পরিচিত হই;

আমি পিয়াস হাসান। আমার জন্ম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের বিখ্যাত নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ থানার অর্ন্তরগত বসুরহাট পৌরসভার এক মুসলিম সম্ভান্ত্র পরিবারে। বাবা মোঃ হারুন চৌধুরী দুবাই প্রবাসী একজন কনস্ট্রাকশন ব্যবসায়ী এবং মা জেসমিন চৌধুরী একজন গৃহিণী।
আমি মা-বাবার বড় ছেলে। আমরা দুই ভাই এক বোন।
ছোট থেকেই আমি ছিলাম খুব রাগী কিন্তু দুষ্টুমি কম করতাম। খেলাধুলার প্রতি খুব আগ্রহী ছিলাম। মা-বাবার আমাকে নিয়ে অনেক আশা, তারা চাইতো আমি যেন ডাক্তার ইন্জিনিয়ার কিছু একটা হয়ে সমাজে তাদের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।  সে লক্ষ্যেে আমাকে ছোট থেকেই পড়াশুনার প্রতি ভালো একটা গাইডলাইন দেওয়া হয়।

সে অনুযায়ী আমিও খুব ভালো একজন ছাত্রে পরিণত হই। ছোট থেকেই পরীক্ষার রেজাল্ট গুলো ভালো ছিল। তাই মা-বাবা আমার খেলাধুলা বা বাহিরে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া পছন্দ করতেন না। অন্যদিকে আমি পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলায় ও অনেক ভালো ছিলাম। তাই আমি চাইতাম একজন ক্রিকেটার হইতে যা মা-বাবার একদমই পছন্দ ছিলো না। ছুটির দিনে বাজার করানোর জন্য আমাকে খুঁজে পাওয়া যেত না, প্রাইভেট টিচার এক দরজা দিয়ে ঢুকতো আর আমি অন্য দরজা দিয়ে ভেগে যেতাম। খেলার মাঠে থাকা হতো আর তাই মা-বাবা সিদ্ধান্ত নিলো আমাকে পাশের জেলা ফেনীতে স্কুলের হোস্টেলেই রেখে পড়াশোনা করাবে।
তারা ভাবলেন  এটাই হবে আমার খেলা বন্ধ করার জন্য উপযোগী জায়গা। কিন্তু তাদের সিদ্ধান্তটি ছিল সম্পূর্ণ ভূল। ঐখানে পরিবারের বাহিরে প্রথম গিয়ে আমার দিন গুলো খুব কষ্টে কাটলো। পড়াশুনাও হচ্ছিলো না ঠিক মতো। তখন ২০১২ সাল  আমি ছিলাম নবম শ্রেণিতে।  বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হওয়াতে যতটা পড়াশুনোয় সময় দেওয়ার কথা ততটা দিতে পাচ্ছিলাম না।  কিন্তু হোস্টেলেে থেকে জীবনে অনেক কিছু শিখলাম।  হয়তো পরিবারের সাথে থাকলে এই জীবনটার সম্পর্কে ধারণা থাকতো না। এভাবে মাধ্যমিকটা কেটে গেল। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হলো ঢাকা শহরে।
ঢাকা শহরে এসে শুরু হলো ঘুরাঘুরি, Youtubing, ছবি তোলা, নানারকম এক্সট্রা কারিকুলাম কাজ করা। মাধ্যমিকেে বিজ্ঞান বিভাগের সাবজেক্ট গুলোতে কিছুটা দূর্বলতা থেকে যাওয়াতে উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগটা আরো কঠিন লাগতে লাগলো।
দেখতে দেখতে সেটাও শেষ হয়ে গেল।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগও হলো না। মা-বাবা হতাশ আমার প্রতি, আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না। আমার জীবন নাকি ব্যর্থ হয়ে গেল ।  যাইহোক সবকিছু মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়া দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করলাম। বিজ্ঞান বিভাগের বিদায় জানিয়ে বিবিএ করার সিদ্ধান্ত হলো। চলতে লাগলো সব কিছু তার নিজের গতিতে।  কিন্তু আমি সব সময় ভাবতাম কিভাবে জীবনে অনেক বড় কিছু হওয়া যায়।  কিভাবে অল্প বয়সে টাকা ইনকাম করা যায়।  সবসময় সুযোগ পেলেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতাম।
হঠাৎ আগের সেই চঞ্চলতা হারিয়ে ফেললাম।  সব সময় পরিবারের ভালো মন্দ নিয়ে চিন্তা করি। অনেকটা পরিবার কেন্দ্রিক হয়ে গেলাম৷  তার পিছনেও কিন্তু একটা মানুষের আগমনী ছোঁয়া ছিল। আগের মতো খেলাধুলা করার ইচ্ছেটা ও হারিয়ে গেল। দেহটা ও অনেক ভারী হয়েছে।  সেই দানপিটে দোড়াদোড়ি এখন আর হয় না। বন্ধুদেরও পাই না এখন সবসময়। কেমন জানি গম্ভীর হয়ে  গেলাম। হয়তো বয়সের চাপ;
জীবনটা এখন ছোট্ট মোবাইলে স্বীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। যাইহোক,
জীবনের বলা হয়তো হয় নি কিন্তু এ জীবন আসলেই অনেক বিচিত্রময়।  কখন কিভাবে সব এলোমেলো হয় আবার সব গুছিয়ে যায় সব তো আল্লাহর ইশারা।
আমার ছোট বোনের সাথে ছোট বেলায় অনেক ঝগড়াঝাটি  হতো নিয়মিত।  দুজন দেড় বছরের বড় ছোট। ২০১২ এর পর বাসা থেকে যখন ফেনীতে পড়তে যাই তখন ভাই বোন কিংবা পরিবার কি জিনিস সেটা টের পাই। এই সুবাদে বোনের সাথে ঝগড়াঝাটির ইতি টানলাম।  বাসায় কয়েকদিনের জন্য আসা হতো তাই মেহমানের মতোই থাকা হতো।  জমজমাট খাওয়া দাওয়া ও  চলতো। ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি যখন বোনের বিয়ে দিয়ে বিদায় দিলাম ঐদিন থেকে পরিবারের মধ্যে একটা শূন্যতা কাজ করে।
বোনকে বিদায় দেওয়ার কষ্টটা অনুভব করি। তারপর পুরা পরিবারের দুবাইতে ঘুরতে যাওয়াটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।  যদিও আমি তার আগে ১০ বার দুবাই ঘুরে এসেছি তারপরও অনেক ভালো কেটেছে পুরো পরিবার থাকাতে। সবাই ১ মাস থেকে চলে আসলো আমি আরোও ২ মাস বাবার কাছে থাকা হয়।
দুবাই থেকে এসে বাবার সিদ্ধান্তেে ইন্ডিয়াতে সিভিল ইন্জিনিয়ারিংয়ে এডমিশন নেওয়া হয়। এখন ইন্ডিয়াতেই থাকা হয়। মাঝে দিয়ে সেমিস্টার এক্সাম শেষে বাড়িতে গিয়ে ঘুরে আসলাম।  এভাবেই কেটে যাচ্ছে জীবনের মূল্যবান সময় গুলো।  সব কিছু যেন অনেক তারাতারি ছুটছে। সামনে কি হবে তার অপেক্ষায়।

                                           (চলবে...)                                                                                                                                                                         

Bangla Valobashar Kobita || বাংলা কবিতা "প্রিয়তমা" ||Priyotoma 💖

প্রিয়তমা

-- পিয়াস হাসান 

আজ না হয় তোর কোকড়ানো চুলে আর খোপা নাই করলি, 
 তবু সেই রমনিই থাকবি। 
না হয় আজ আর লেপ্টানো কাজল মুছলি না,
 তবু তুই সেই আমারি প্রিয়তমা রইবি।
আজ আর তোকে পায়ে পায়েল পড়তে হবে না,
 তোর আলতা মাখা পা 'ই' বেশ লাগছে। 
আজ না হয় শাড়ীর কুছি এলোমেলো থাক,
 তবু তুই সেই অপ্সরাই থাকবি।
 নাই বা পরলি সোনার বালা আজ, 💗
 তাতে কি;
          তোর হাতে তো বাহারি রেশমি চুড়ি আছে।

রেশমি চুড়ির ঝংকারেে আজ হৃৎস্পন্দন  গর্জে উঠে

ওগো, দোহায় তোমার;
        চলোনা আজ এই বাসন্তী হাওয়ায় দুজন হারিয়ে যাই।

চলো না গো প্রিয়তমা দুজনাই মিলে যাই দুজনাতে

তুমি তো আমারি প্রিয়তমা,
                                 আমারি অপ্সরা, 
তবে নাও না মেনে আমায়

তোমার প্রিয়তম করে 💖 


  

Sunday, 15 March 2020

Coronavirus in Bangladesh || COVID-19 || করোনা ভাইরাস সংক্রমণ

করোনা ভাইরাস (COVID-19)

Coronavirus in Bangladesh 😭

জার্মানিঃ    

প্রায় সত্তর শতাংশ মানুষ করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের ঝুকিতে আছে।

যুক্তরাষ্ট্রঃ

দেশের সাত থেকে পনের কোটি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবন  রয়েছে।

বাংলাদেশ-

তিনজন আক্রান্ত হয়েছিল,  দু'জন ভালো হয়ে গেছে । 

মাথা নাই, মাথার ব্যাথাও নাই;
যন্ত্রপাতিও নাই, রোগীও নাই; 🤐  
  
     

Germany:

About seventy percent of people are at risk of getting the coronary virus infection.

United States:

Seven to fifteen million people in the country are likely to be infected with the corona virus.   

Bangladesh- 

Three were attacked, two were healed. No head, no headaches; Neither the machinery, nor the patient; 

Short Love Story || অসমাপ্ত ভালোবাসা || বাংলা ছোট গল্প || Bangla Love Story

অসমাপ্ত ভালোবাসা

আমাদের গল্পটা শুরু হয় খুব অদ্ভুত ভাবেই। সেদিন বিকেলে আমি টিউশনির থেকে যাচ্ছিলাম। আর হঠাৎ একটা বল এসে আমার মাথায় পড়ে। চোখ খুলেই দেখি একজন দৌড়ে আসছে আমার দিকে আর হাত জোর করে ক্ষমা চাইলো। তখন সে বসে আমার মাথায় বরফ লাগিয়ে দেয়। সেদিনের ঘটনাটির পর প্রায়ই আমাদের চোখে চোখে ভাব আদান-প্রদান হয়।
আস্তে আস্তে দুজনের মনে ভালো লাগা শুরু হলো। একদিন সে সাহস করে বলেই দিলো আমাকে তার ভালোলাগে।  আমারও তাকে অনেক ভালো লাগতো। তাই মোবাইল নাম্বার চাওয়াতে দিয়ে দিলাম। এরপর কথা হতে লাগলো দুজনের। SMS করা হতো নিয়মি,  মাঝে মাঝে দেখা করা বা ঘুরাঘুরিও হতে লাগলো।
এভাবে দুই বছর অতিবাহিত হয়ে গেল। আর এই সম্পর্কের কথা আমার মা ও তার পরিবার  জানতো।
তারপর তার চাকরি হলো আর আমার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠালো।  আমার বাসা থেকেও মেনে নিয়েছে, খুব একটা সমস্যা হয় নি।
 মা-বাবার এক মাত্র মেয়ে হওয়ায় সবকিছু না চাইতে পাওয়া হতো। তাই আমার মতামতের গুরুত্ব ছিলো যথেষ্ট।  তাছাড়া সম্পর্কটি হওয়ার আগে স্বভাবতই আমি গোমরা মুখো ছিলাম, কারো সাথে সহজে মিশতাম না। তার সাথে সম্পর্ক হওয়ার পর আমার মাঝে অনেকটা পরিবর্তন লক্ষ্য করলো মা বাবা। আগের থেকে অনেক হাসি খুশি থাকতে পছন্দ করি, সবার সাথে মিশে হৈ চৈ করি রীতিমতো।  আর তাই  মা বাবা ও অনেক খুশি ছিলেন।
যাইহোক মূল কথায় আসি,
যখন বিয়ের কথা পাকাপোক্ত হলো নিজেকে খুব ভাগ্যবতী ভাবছিলাম।  মনে হলো সব সুখ আমি একা হাতের মুঠোয় করে রেখেছি।  আর তার মধ্যে চলে আসলো বিয়ের দিন। সকাল থেকে সে আমাকে অনেক SMS করতেছিলো আর Countdown করতে লাগলো কখন আমাকে দেখতে পাবে বউয়ের সাজে  খুব কাছে থেকে। 
               
আমিও বউয়ের সাজে তৈরী আর সেও আমাকে জানালো তারা বের হচ্ছে বাসা থেকে। আর একটু পর আমি এসে পৌঁছে যাবো। তোমাকে সারাজীবনের জন্য আপন করে নিবো। 
আমি খুব লজ্জা পেয়ে রেখে দিলাম আর উত্তরটা দেওয়া হয়ে উঠলো না। আমি তৈরী হয়ে বসে আছি, সব আত্মীয় স্বজনরাও এসে গেল। বর যাত্রীও প্রায়ই চলে আসছে শুধু সে আসছে না এখনো। এমন সময় তার বাবার মোবাইলে কল আসলো তাদের গাড়ি নাকি এক্সিডেন্ট হইছে। তারা তিনজন গাড়িতে ছিল সবার খুব খারাপ অবস্থা। কথাটা শুনে পায়ের নিচে থেকে যেন মাটি সরে গেল। হতভম্ব হয়ে কনের সাজে দাঁড়িয়ে আছি। চারপাশে কি হচ্ছে, কে কি বলতেছে কিছুই কানে আসছে না যেন।  

বাবা আমার মাথায় হাত রেখে বলল মা তুই যাবি..?? বাবার স্পর্শ পেয়ে যেন সব শুনতে পাচ্ছি।  

এরপর ছুটে গেলাম তার কাছে। তার পাশে গিয়ে বসলাম হসপিটালের বেড়ে। আমি তার মাথায় হাত দিয়ে বললাম আরে এইটা সামান্য একটু ছোঁট 'ই' না, কিচ্ছু হবে না তোমার৷ ভালো হয়ে যাবা তুমি। কিন্তু আমি জানতাম না যে তার শেষ নিশ্বাস টা শুধু আমাকে দেখার জন্য আটকে ছিলো। 
আমার দিকে তাকিয়ে রইলো ভালোবাসার চাহনিতে। মৃদু হেসে বলল আজ তোমায় অনেক বেশি সুন্দর লাগতেছে কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস দেখো তোমার এই সৌন্দর্যটা আর বেশিক্ষণ দেখার সুযোগ হয়তো হবে না আমার। চোখের পানি চেরে দিয়ে আমার হাতটা শক্ত করে ধরলো। আর বললো এই হাত কখনো
   ছেড়ে দেওয়ার জন্য ধরিনি,  আমাকে ক্ষমা করে দিও হাতটা শক্ত করে ধরার শক্তিটা আমার মধ্যে আর বেশিক্ষণ নেই আমি জানি।  তোমার জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে আমার, আমাকে ছাড়া তুমি অনেক একা হয়ে যাবে। শেষ কয়েকটি মাস তুমি আমাকে ছাড়া একটা মুহূর্তও কল্পনা করতে পারোনি।  
আমি বললাম এভাবে বলো না তোমার কিছুই হবে না।  ডাক্তার বললেন তুমি  খুব তারাতারি ভালো হয়ে যাবে। এই কথা বলার পর একটু মুচকি হেসে আমার মুখে হাত দিয়ে আলতো করে স্পর্শ করে চোখের পাতা গুলো নামিয়ে ফেলল । হাতটা আমি ধরে আছি, ক্রমশ ঠান্ডা হতে লাগলো।  সে চিরতরে চলে গেল আমি সেটা নিজেকে বিশ্বাস করাতে পাচ্ছি না। চুপ করে শুধু তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। 🤐🤐 

        (অসমাপ্ত.....)                                                         


Love Letter || Emotional Writing || Bangla Blog 💖 অভিমান || অনুসূচনা || প্রেমপত্র

অভিমানি, 😏

তোকে Love you বলিনি বলে কষ্ট পেয়েছিলি। Miss You বলিনি বলে অভিমান করেছিলি। বেশ তো অভিমান কর না, দেখি কতটা সময় ধরে থাকতে পারিস। 

ভালোবেসে তোর সব অভিমান ধুয়ে দিবো, ভালোবাসার আঁচলে সব কষ্ট ঢেকে দিবো। তুইও তো আমায় ভালোবাসিস, এত্তো গুলো ভালোবাসা আছে তোর মনে। 💖 হৃদয়ের পুরোটাই তো আমার নামে লিখে দিয়েছিলি। তাহলে অভিমান করে সরিয়ে দিচ্ছিলি কেন..?? 
 আমাকে ছাড়া থাকতে পারবি না তো জানি। আমার কথাটা না হয় বাদ 'ই' দিলি, নিজেকে কেন এতো এতো কষ্ট দিস.??? কষ্ট পেতে বুঝি খুব ভালো লাগে.?

আরে বোকা যত ইচ্ছা রাগ অভিমান কর, ছেড়ে যাওয়ার কথা বলিস না। তোর নামেই তো আমার জীবন।  বড্ড বেশি ভালোবাসি তোকে আর অনেক বেশি মিস করি প্রতিটি মূহুর্তে। আর এখনো করছি। তোর নামটাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে দেখ আমার নামটা খুঁজে পাবি।  আমার অপ্রকাশিত ভালোবাসা গুলোকে বুঝে নিস। 

--Secret Writer

 26 July, 2017

  9:53 P.M                

Saturday, 14 March 2020

Emotional Poem || Bangla new Kobita || বাংলা আবেগী কবিতা 'তুমি'

         তুমি

- পিয়াস  হাসান

এসেছিলে এমন এক ক্ষণে
      দেখেও দেখিনি তোমায়,
ছিলে তুমি আমার খুবই চেনা 
      হয়ে গেলে বড়ই অচেনা।
চেয়েছি বুঝতে তোমায়
বুঝেছো তুমি আমায় ভূল,
চাই নি যখন তোমায় আমি
      চেয়েছো তুমি আমায়।
হয়ত বা তাই,
আজ তোমায় পেতে চেয়েও পাই না
হারাতে চেয়েও তুমি হারাও না।

True Love Story : Part-2 সত্যিকারের ভালোবাসা পর্ব-২ || Real Love Story || Pure Love

সত্যিকারের ভালোবাসাঃ Part-2

★★ ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ রাতে আমার সেই ভালোবাসার মেয়েটির Facebook Account   খুঁজে পেলাম।  সাথে সাথে Friend Request দিয়ে দিলাম।  ১৬ মার্চ  সকালে মেয়েটির সাথে কথা হলো। মনের সব কথা যতটা পারলাম খুলে বললাম। কিন্তু সন্দেহ হলো সত্যিই কি আমি সেই মেয়ের সাথে কথা বলতেছি.??
তারপর তার মায়ের সেই নাম্বারটি Fill in the Gap হিসাবে দিলাম। নাম্বারটি আমার মুখস্থ ছিল ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ থেকে। মেয়েটি তার মায়ের নাম্বারটি পূরণ করে দিলো। ১০০% নিশ্চিত হলাম এটাই আমার ভালোবাসার সেই মানুষটি।
★★ সারাদিন কথা চলতে থাকলো, মেয়েটি এখনো আমার Friend Request Accept করে নি। ২০১৪ সালের লুকিয়ে  তোলা ছবি গুলো দেখাচ্ছিলাম।  দুজন কিছুটা পিছনে ফিরে গেলাম। Chatting করতে করতে আমার চেখের পানি ঝরতেছিলো। আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেছে। আমার ভালোবাসা যে কতটা পবিত্র ছিল সেটা প্রমাণিত হলো। শুনতে পেলাম তার সম্পর্কটাও Breakup হয়ে গেল। আমি SMS এ আবার প্রপোজ করলাম।
মেয়েটি বললো আমি ভেবে দেখি। আমি ভয় পেয়ে গেলাম আবার। না জানি রিজেক্ট করে দেয় নাকি। ১৭ মার্চ ও সারাদিন ও গভীর রাত পর্যন্ত কথা হলো। তারপর আমার জন্য সব চেয়ে খুশির মূহুর্তটা আসলো। ১৮ মার্চ সে আমার Friend Request Accept করলো এবং তার জীবনের সাথে আমার নামটি লিখে দিলো।
★★ গভীর রাত পর্যন্ত কথা চলতে থাকে দুজনের।  রাগ অভিমান,  খুনসুটি ও শুরু হলো। ধীরে ধীরে আমাদের  ভালোবাসাটা  শিরা উপশিরাতে মিশে গেল। আমি তার হার্টবিট হয়ে উঠি আর সে আমার অক্সিজেন হয়ে উঠলো।  14 April,2017 পহেলা বৈশাখে প্রথম দেখা হয় সম্পর্ক হওয়ার পর। তারপর ১৫ মে তে আমাদের বাসায় অনেক সুন্দর করে প্রপোজ করলাম সবার সামনে। আমার বন্ধু,  ছোট  বোন, তার কাজিন বান্ধবী সবাই উপস্থিত ছিল। সুন্দর মুহূর্ত গুলো সব ক্যামেরা বন্দী করলাম। রাতে আমার জ্বর আসে খুব।
ভূল করে সব ছবি Facebook Upload দিয়ে দিলাম। এটা নিয়ে অনেক ঝামেলা মোকাবিলা করতে হলো। যাইহোক,  দিনটা অনেক বেশি Special হয়ে থাকবে আমাদের জন্য।
★★ এরপর নিয়মিত দেখা করা, ঘুরাঘুরি ও অনেক রোমান্টিক সময় কাটলো দুজনের। ছোটখাটো অনেক রাগ, অভিমান, ভূল বুঝাবুঝি হলো।  তারপরও আমাদের দুজনের মধ্যে অনেক বেশি ভালোবাসা তৈরী হলো।  ১ মিনিটে ৩/৪ টা SMS Send হয়।  কখনো বৃষ্টিতে ভেজা, লুকিয়ে   ঘুরতে যাওয়া, এক সাথে পাহাড়ে উঠা, লেকে নৌকা ভ্রমণ আরো কত কি। কিছু কিছু দিন আছে যা আমরা কখনো ভূলতে পারবো না।  এত কষ্টে পাওয়া ভালোবাসাকে খুব আগলে  রাখতে চেষ্টা করি শত রাগ, ঝগড়া, শাসন সব কিছুর মাঝেও।  সব কিছু ভূলে এক সাথে থাকার নামই ভালোবাসা।  কিছু Special Day আমাদের আরো কাছে আসতে সুযোগ করে দিয়েছে।  💖
  দুজন আল্লাহর রহমতে অনেক Happy আছি। এভাবে বাকি জীবনটা এক সাথে কাটিয়ে দিতে চাই। ("সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো হারায় না")

** Moral of the Story : True Love Never Die
লেগে থাকো, কপালে থাকলে   অবশ্যই পাবে 💖                       
গল্পটি ভালো লেগে থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন আপনাদের মন্তব্য - ধন্যবাদ    

True Love Story : Part 1 সত্যিকারের ভালোবাসা পর্ব-১ || Relationship || Pure Love || Real Love Story

True Love Story 💖 

সত্যিকারের ভালোবাসার গল্পঃ পর্ব-১

★ প্রেম ভালোবাসা প্রতিটি মানুষের জীবনে কখনো না কখনো আসেই.. তেমনি আমার জীবনে এসেছিল যখন আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি.. সময়টা ২০১৪ সাল. একটি পড়ন্ত বিকেলে হঠাৎ  চোখে পড়ল একটি মেয়েকে। যার গায়ে ছিল কালো জামা পড়া ওচোখে চশমা আর সুন্দর মুখের হাসি। দূর থেকেই দেখে প্রেমে পড়ে গেলাম. প্রথম দেখাতে যে প্রেমে পড়া যায় তা জীবনে উপলব্ধি করলাম.. তাকিয়ে রইলাম খানিকটা সময় মেয়েটার দিকে। বুকটা কেঁপে উঠলো। তারপরদিন খবর নিয়ে দেখলাম মেয়েটি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে স্থানীয় একটি স্কুলে. এরপর তার অপেক্ষায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা শুরু। দু-একদিন চোখে চোখে ভাব প্রদান করা হলো। একদিন স্কুল থেকে আসার সময় হুট করেই মেয়েটিকে মনের কথা জানিয়ে দিলাম। মেয়েটি বিরক্ত হয়ে চলে গেল।
★ মেয়েটি যে স্কুলে পড়তো ঐ স্কুলে আমার ছোট বোনও পড়াশোনা করতো।  ছোট বোনের মাধ্যমে নিজের লিখা জীবনের প্রথম প্রেম পত্রটি মেয়েটির হাতে পৌছালাম। ঐখানে আমার নাম্বার ও ফেসবুক আইডি দিলাম।  মেয়েটি কোন উত্তর দিলো না।  রাস্তায় উত্তর জানতে চাইলাম বার বার।  কিন্তু মেয়েটি উত্তর বলে নি অন্যথায় অনেক বিরক্ত হয়েছি। আমার মনে তখন শুধুই মেয়েটি উঁকি দিচ্ছিলো।  খাওয়া খেতে ভালো লাগছিলো না, পড়াশোনায় মন ছিল না।  একদিন বিকেলে মেয়েটি স্কুল থেকে বাসায় আসছিল।  আমি তাদের বাসার সামনে থেকে দেখতে পেলাম।  তারপর লুকিয়ে গেলাম সিঁড়ির নিচে, মেয়েটি সিঁড়ি বেয়ে উঠতেই তার হাত ধরে ফেললাম।
★ মেয়েটিকে বললাম আমাকে তার পছন্দ হয় নাকি,  আর আমিও যে তাকে অনেক ভালোবেসে পেলছি তা আবার জানালাম।  মেয়েটি সাথে সাথেই অনেক রেগে গিয়ে আমাকে ফিরিয়ে দিলো।  আমার ভালোবাসার কোন সাড়া দেয় নি।  খুব কষ্ট পেলাম।  মন খারাপ নিয়ে বাসায় চলে গেলাম।  রাতে খাওয়া খেলাম না, সারারাত জেগে থেকে তার কথা ভাবলাম, আর চেখের কোনে জমেছিল ভালোবাসা না পাওয়ার অশ্রু।   কয়েকদিন বাসা থেকে বের হলাম না, মেয়েটিকে ও দেখতে যাওয়া হয় নি। সিদ্ধান্ত নিলাম মেয়েটিকে যেভাবেই হোক পেতে হবে।
 যতই আমাকে ফিরিয়ে দিবে আমি তার পিছু ছাড়বো না।  এরপর আবার তার পিছনে ঘুরা শুরু করলাম। 
★ মেয়েটির সাথে সবসময় তার একটি বান্ধবী স্কুলে আসা যাওয়া করতো।  ঐ বান্ধবীর মাধ্যমে কয়েকটি চিঠি দেওয়া হলো মেয়েটিকে।  তাতেও কোন লাভ হয় নি।  এর মধ্যে আমার এস.এস.সি পরীক্ষা চলে আসলো।  ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তে আমি পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় সকাল ৯ঃ২৩ মিনিটে একটি মিস কল আসে আমার মোবাইলে। পরীক্ষা শেষে আমি সেই নাম্বারে কল দিলাম। একটি মহিলা কলটা ধরলো। মিস কল কেন দিলো জিজ্ঞেস করার পর মহিলাটি বলল কোন কল যায় নি আমার মোবাইল থেকে।  আমি কল কেটে দিয়ে চিন্তা করলাম মেয়েটি নয় তো..? কেন জানি মনে হলো মেয়েটি তার মায়ের মোবাইল থেকে কল দিয়েছে। বিকেলে আমার নাম্বার থেকে কল দিলাম কিন্তু ধরলো না, এরপর মায়ের নাম্বার থেকে ছোট বোনকে দিয়ে কল দেওয়াতে নিশ্চিত হলাম এইটা সেই মেয়েটি। তার সমস্যা হবে ভেবে কল দেওয়া হতো না ঐ নাম্বারে।  মাঝে মাঝে গভীর রাতে ছোট্ট করে মিস কল দিতাম বা SMS দিতাম মেয়েটির দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য।  কিন্তু কখনো Reply পেতাম না  😭 এভাবে মেয়েটির আসা যাওয়ার পথে দাঁড়িয়ে থাকা কিংবা তার বাসার পিছে আড্ডা দেওয়া চলতে থাকলো।  ইতিমধ্যে এলাকার অনেকে ব্যাপারটি লক্ষ্য করলো।
★  এলাকার এক বড় ভাই মেয়েটিকে পছন্দ করে বসলো।  সে জানতো মেয়েটিকে আমি পছন্দ করি।  তাই আমাকে এসে বললেন যে তোমাকে এই মেয়ের জীবন থেকে সরে দাড়াতে হবে।  না হয় হুমকি দিলেন  মেয়েটির বাবাকে সব বলে দিবে।  আমি বললাম ঠিক আছে আমি সরে যাবো মেয়েটির জীবন থেকে। তারা আমার মুখের কথায় বিশ্বাস করে নি।  সে ভাবছে আমার সাথে মেয়েটির সম্পর্ক চলতেছে।  আমাকে বলা হলো মেয়েটি স্কুল থেকে আসার পথে আমার সামনে মেয়েটিকে বলতে হবে " এত দিন যা করেছি সব দুষ্টুমি ছিল  Sorry আমি মজা করছি Just..  আমি বলতে বাধ্য হলাম।  মেয়েটি এটাকে অপমান হিসাবে নিলো।
তারপর থেকে আমার কোন চিঠি নিলো না।  আমি বলতে পারি নি যে ঐদিন কেন আমি কথাগুলো বললাম।  মেয়েটি আমাকে ফালতু ছেলে ভাবলো।
আমি পাগলের মতো  চেষ্টা করে গেছি মেয়েটিকে বোঝাতে।  কিন্তু আমি কোন সুযোগ পাই নি।
★ এভাবেই আমার সুযোগ হয়ে উঠে নি মেয়েটিকে ভালোবাসার মানুষ হিসাবে কাছে পাওয়ার।  কিছুদিন পর জানতে পারি মেয়েটি একটি সম্পর্কে জড়িয়েছে।  তাদের বাসার পিছনে আর বেশি যাওয়া হয় না।  রাস্তায় আর আগের মতো দাঁড়িয়ে থাকা হয় না।  আস্তে আস্তে অভিমান আসতে থাকে মেয়েটির উপরে কিন্তু  যতটা ভালোবেসেছি তা ভাসায় প্রকাশ করার মতো নয় আর ভূলে যাওয়াও সম্ভব ছিল না,   Facebook এ অনেক মেয়ের সাথে কথা হয়েছে কিংবা ছোট্ট একটা সম্পর্কেও জড়িয়েছিলাম কিন্তু সেই মেয়েকে একটা দিনের জন্যও ভূলা হয় নি, নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বলতাম যদি আমার ভালোবাসা সত্যি হয়ে থাকে আর পবিত্র হয়ে থাকে তাহলে মেয়েটিকে আমার নসিবে লিখে দিও।  আমার বিশ্বাস ছিল একদিন হয়তো কোন Magical or Strangeable ঘটনা ঘটে তাকে পেয়ে যাবো। কিন্তু ঐরকম কিছু হয় নি।   ২০১৪-২০১৬ পার হয়ে গেল। গল্পের নতুন অধ্যায়ের শুরুটা সেখানেই।
Part :2 Upcoming                      (চলবে)                               https://youtu.be/AiqmucbTKkI

Lockdown time Daily Routine | Alone life | West Bengal

Daily Routine | Lockdown Time  West Bengal | Alone Life      #Lockdown_Time #Daily_Routine  #Alone_life লকডাউনে আমার যেভাবে সারা...